নিউজ ডেস্কঃ কুলিক নদীর পাড়ে যথেচ্ছ ভাবে ফেলা হচ্ছে নিষিদ্ধ থার্মোকল ও আবর্জনা। এতে ব্যাপক ভাবে দূষিত হচ্ছে নদীর জল। কুলিকের বাস্তুতন্ত্র বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন সকলেই।
রায়গঞ্জ শহরের লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত কুলিক নদী। শহরের বুক চিরে প্রবাহিত এই নদীর ইতিহাস বহু প্রাচীন। একসময় স্রোতস্বিনী এই কুলিকে করে ভেসে আসত বানিজ্য তরী। কালের নিয়মে সেই কুলিক এখন মৃতপ্রায়। মানুষের অসচেতনতার জেরে ক্রমশই দূষিত হয়ে পড়ছে কুলিকের জল। এরই মধ্যে আরও এক ভয়ঙ্কর ছবি উঠে এল কুলিকের পাড় থেকে। দেখা যাচ্ছে রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া বাহিন অঞ্চলে রাস্তার পাশে কুলিকের ধারে ফেলা হচ্ছে নিষিদ্ধ থার্মোকল এবং প্রচুর নোংরা আবর্জনা। যাকে ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষজন। এমনটা চলতে থাকলে কুলিক নদী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।
মহিলার কাটা পা উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে, গ্রেফতার ১
বানেশ্বর বর্মন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এবাবে নদীর পাড়ে এসব ফেলা ঠিক নয়। এর থেকে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কে কখন এসব ফেলে যাচ্ছে বোঝা বড় দায়। রাস্তা দিয়ে প্রশাসনের কর্তারা যাতায়াত করলেও তাদের চোখেও পড়ছে না। সকলের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত।
অনন্ত মহারাজের বাড়িতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কৌশিক ভট্টাচার্য নামের এক সমাজ কর্মী জানান, আগে কুলিক নদীতে থার্মোকল ফেলা হত। তা বন্ধ করা গিয়েছে। এখন নদীর ধারে এসব ফেলা হচ্ছে। এতে কুলিক বাঁচানোর ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরী হচ্ছে। নদীর বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিক।
ব্ল্যাক লিস্ট হওয়া কোম্পানী তুললো কাটমানির অভিযোগ
বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের ঐ এলাকার সদস্য মনু মন্ডলও এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। তার দাবী, তিনি বিষয়টি আগেও প্রশাসনকে জানিয়েছেন। অবিলম্বে এর বিহিত চান তিনি।