নিউজ ডেস্ক : বৈদ্যুতিক ঠিকাদার সংস্থার কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোড়ন ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রায় দশ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ৷
তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বিরোধীরা হামেশাই এই তোলাবাজি কিংবা কাটমানি নিয়ে শাসক দলের মুণ্ডপাত করেছে আকছার৷ কিন্তু তাতে কী? বিরোধীদের আনা অভিযোগ সব সময় তো আর সত্যি হয় না। কিন্তু এবার বিরোধীরা নয়, সরাসরি বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলল একটি বিদ্যুতিক ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার সৌমেন সরকার। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাট শহরে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় হতবাক অনেকেই৷ মূলত বালুরঘাট পুরসভার সঙ্গে স্ট্রিট লাইট এজেন্সির বিবাদ দীর্ঘদিন ধরে। সেই বিবাদের মাঝে প্রকাশ্যে এল কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। কাজের জন্য পুরসভার চেয়ারম্যানকে ১০ লক্ষ টাকা কাটমানি দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু সেই ভাইরাল অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি RCTV সংবাদ। সেই অডিও কল বালুরঘাট পুরসভার এমসিআইসি বিপুল কান্তি ঘোষের বলেই দাবি। তবে সেই কলের অডিওটি নিজের বলেই স্বীকার করে নিয়েছেন বিপুলবাবু নিজেরাই। কিন্তু তা অসম্পূর্ণ বলেই দাবি তার। যদিও পুরসভা চেয়ারম্যানের অশোক মিত্রের দাবি, ওই ঠিকাদার সংস্থার আনা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে। পথবাতির কাজ সঠিকমত করতে পারছে না ওই এজেন্সি। এমনকি পথবাতিতে টাইমারও লাগানো হয়নি। ফলে পুরসভার তরফে ব্ল্যাক লিস্ট করা হয়েছে ওই এজেন্সীকে। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রও রয়েছে বলেই দাবি করছেন বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র।