নিউজ ডেস্ক : একেই বলে ঝুঁকির যাতায়াত। নদীর উপরে নেই কোনো সেতু। বর্ষার মরশুমে নৌকায় চেপে নদী পার হচ্ছেন দুপারের বহু মানুষ। ভার বেশী হলে যখন তখন উল্টে যাচ্ছে নৌকা। শুধু তাই নয়, অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল সেতু দিয়ে যাতায়াত করছেন। ট্রেন এলেই ঝাঁপ দিচ্ছেন নদীতে। এমনই চিত্র ধরা পড়ল রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকরা এলাকায়।
সন্ত্রাসের অভিযোগে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতার ভাই
রায়গঞ্জ ব্লকের অন্তর্ভুক্ত বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকড়া এলাকা। বাংলা বিহার সীমান্তবর্তী এই এলাকার বুক চিরে প্রবাহিত হয়েছে নাগর নদী। নাগরের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে অজস্র স্রোত। পেরিয়েছে অনেক বসন্ত। কিন্তু এই নদীর উপরে আজও তৈরী হয়নি পাকা সেতু। যার জেরে আজও এই এলাকার মানুষ উন্নয়নের আলো থেকে বঞ্চিত। প্রায় প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার মানুষকে নদী পারাপার করতে হয়। এতদিন পারাপারের একমাত্র ভরসা ছিল বাঁশের সাঁকো। কিন্তু বর্ষার মরশুম শুরু হতে নাগরে বাড়তে শুরু করেছে জল। আর এর জেরে কদিন আগে সাঁকোটি ভেঙে যায়। এখন উপায় নৌকা। নৌকায় চেপেই দুপারে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কিন্তু তাও প্রান ভয়ে। কেননা নৌকায় যাতায়াত যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে। শুধু কি তাই। জরুরি কাজে দ্রুত গন্তব্যে পৌছতে এলাকার মানুষ আরও একটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ উপায় অবলম্বন করছেন। যা দেখে অনেকের চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে। পাশেই রয়েছে রেল সেতু। সেই সেতুর উপর দিয়ে পার হন অনেক মানুষ। আচমকা ট্রেন চলে এলেই প্রান বাঁচাতে সটানে ঝাঁপ দিচ্ছেন নদীতে।
TMCP র দুই গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত ৬
সুমন হালদার নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, গত বুধবার বিকেলে নৌকা পারাপার হওয়ার সময় একটি নৌকা পাল্টি খায়। সেই নৌকার উপরে চারটি মোটরবাইক ছিল যেগুলি নদীতে পড়ে যায়। এমন দুর্ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। আগে সাঁকো ছিল জল বাড়তে তাও ভেঙে পড়েছে। ঝুঁকির যাতায়াত চলছে রেল সেতুর উপর দিয়েও।
নব চন্দ্র দাস নামের এক ব্যক্তি জানান, বাসুর সাঁকোটি ভেঙে গিয়েছে দিন কয়েক হল। এখন নৌকায় একমাত্র ভরসা। যাতায়াত করতে গিয়ে নৌকাও পাল্টি খাচ্ছে। অবিলম্বে এখানে সেতু নির্মাণ করা হোক।মহঃ ফইজল আলি নামের স্থানীয় অপর এক ব্যক্তি জানান, তিনি নৌকার ধরার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। সাঁকোতে যাতায়াত অনেক ভাল ছিল। এখন নৌকায় যাতায়াত করতে গিয়ে ভয় হচ্ছে। বাংলা বিহার সরকার মিলে এখানে পাকা সেতু নির্মাণ করুক।
চোপড়া কান্ডে প্রতিক্রিয়া এলাকাবাসীর
তপন হালদার নামের আর একজন গ্রামবাসী জানান, খুব জরুরি কাজ থাকলে রেল সেতুই ভরসা। চলতে চলতে ট্রেন এসে পড়লে নদীতে ঝাঁপ দিতে হয়। প্রসঙ্গতঃ এই এলাকায় পাকা সেতুর জন্য জনপ্রতিনিধিরাও তদ্বির করেছেন। কিন্তু এনওসি জটিলতা কিছুতেই কাটছে না। নেপথে রাজনীতি দেখছেন অনেকেই৷ এখন আদৌ কবে এখানে পাকা সেতু নির্মান হবে তা সময়ই বলবে।