নিউজ ডেস্ক : আচমকাই ঘটে গেল মর্মান্তিক দূর্ঘটনা। মাত্র ৪ দিনে ব্যবধানে প্রান গেল বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষকের। শুধু বিদ্যালয় নয় গোটা গ্রামজুড়ে শোকের আবহ। কারও মন ভারাক্রান্ত কারও চোখে জল। সকলের মুখে একটাই কথা “মাস্টার মশাইরা খুব ভালো মানুষ ছিলেন”।
এএনএম-জিএনএম পরীক্ষার হলে মোবাইলে টুকলি, আটক ৯
সত্যিই তো, একজন ভালো মানুষ হলে তবেই তো বাচ্চাদের ভালো শিক্ষা দেওয়া সম্ভব। কিন্তু ঠিক কি হয়েছিল ২ শিক্ষকের? রায়গঞ্জ ব্লকের ধর্মডাঙ্গী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন নারায়ণ সরকার ও সহশিক্ষক বিশ্বব্রত সাহা দূর্ঘটনায় প্রান হারিয়েছেন। গত ৩১শে জুলাই বাড়ি থেকে বাইকে চেপে বিদ্যালয়ে আসার পথে রুপাহারে দূর্ঘটনার কবলে পড়েন ২ জন। তাদের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেদিনই প্রয়াত হন তপন বাবু। বিশ্বব্রত কে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ৪ দিনের ব্যবধানে তিনিও মারা যান।আর এরপরই বিদ্যালয়জুড়ে যেন শুধুই শূন্যতা। এই বিদ্যালয়ে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৫৮ জন। শিক্ষক ছিলেন ৪ জন। ২ জনের মৃত্যু হওয়ায় এখন বাকী ২ জন শিক্ষকের উপরে চাপ পড়েছে। পঠনপাঠন, মিড-ডে-মিল, অফিসিয়াল কাজ করতে গিয়ে হোঁচট খেতে হচ্ছে তাদের। তার থেকে বড় বিষয় বিদ্যালয়ে এলেই মন যেন বিষাদে ভরে উঠছে। পদে পদে ২ সহকর্মীর অভাব বোধ করছেন। শুধু তারাই নন পরুয়া ও অভিভাবকরাও যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন।
বেহাল নিকাশি, জমা জলে দূর্ভোগের যাতায়াত এলাকাবাসীর
দীপক মুর্মু নামের এক শিক্সক জানান, একসাথে কাজ করতেন। তাদের প্রান বিয়োগে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত। ঠিকমত পড়াতে পারছেন না। শোকের বিহ্বল তিনি।অমল বর্মন নামের অপর এক শিক্ষক জানান, বিষয়টা ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। ২ সহকর্মীর মৃত্যু মেনে নেওয়া বড় কঠিন। বিদ্যালয়ে এলেই যেন হারানোর যন্ত্রনা। শ্রেণীকক্ষেে ঢুকলেই মনে পড়ছে সব।মৌসুমী বর্মন নামের এক পড়ুয়া জানায়, তারা খুব ভারাক্রান্ত। তপন ও বিশ্ব স্যারের মৃত্যু তারা মেনে নিতে পারছে না। ২ শিক্ষক তাদের অত্যন্ত স্নেহ করতেন।মলয় বর্মন নামের অপর এক পড়ুয়া জানায়, ২ শিক্ষকই খুব ভালো ছিলেন। দূর্ঘটনার কদিন আগেই তাদের জন্য বল এনে দিয়েছিলেন ঐ শিক্ষকরা। কথা বলতে বলতে চোখ বেয়ে নেমে এল জল। কান্নায় ধরে এল শিশুটির গলা।মদন বর্মন নামের এক অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়ে আসতে গিয়ে দূর্ঘটনায় প্রান হারিয়েছেন ঐ ২ শিক্ষক। খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন তারা। খুদে পড়ুয়াদের সাথে অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করতেন।অপু গোস্বামী নামের অপর এক অভিভাবক জানান, বাচ্চাদের জন্য ঐ শিক্ষকরা মাঝেমধ্যে চকোলেট আনত। নিজেদের সন্তানের মতই তাদের ভালোবাসতেন। তাদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।