বড়দিন উপলক্ষ্যে রায়গঞ্জের ছটপড়ুয়ায় অবস্থিত সেন্ট যোসেফ ক্যাথিড্রাল চার্চে উপচে পড়ল হাজার হাজার মানুষের ভীড়। সুবিশাল এই চার্চ উত্তরবঙ্গের অন্যতম হিসেবে পরিচিত। বুধবার সকাল থেকেই কঁচিকাঁচা থেকে যুবক যুবতীদের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছিল উপাসনাস্থল।
ভিন রাজ্যের সন্দেহভাজন অপরিচিত মানুষের তুলে দেওয়া হলো পুলিশের হাতে
রায়গঞ্জ শহর তথা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সর্বধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন এই পুন্যস্থানে। যাকে ঘিরে সম্প্রীতির মিলনক্ষেত্রে পরিনত হয় ছটপরুয়ার সেন্ট যোসেফ ক্যাথিড্রাল চার্চ।
বলা হয় ” ধর্ম যার যার উৎসব সবার “। বুধবার ২৫শে ডিসেম্বর সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হল বড়দিন। বুধবার বড়দিনে রায়গঞ্জের ছটপড়ুয়ায় অবস্থিত সেন্ট যোসেফ ক্যাথিড্রাল চার্চ যেন সম্প্রীতির মিলনক্ষেত্রে পরিনত হয়। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছিল সেন্ট ক্যাথিড্রাল চার্চে। প্রতিবছরই বড়দিনে রায়গঞ্জ ও সংলগ্ন মানুষের কাছে আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে এই চার্চ। প্রতিবছরের মত এবারেও উৎসবপ্রিয় মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠতে।
সেই ছবিই ধরা পরলো আর সি টি ভি’র ক্যামেরায়। আট থেকে আশি সকল বয়সের মানুষ বড়দিন উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন সেন্ট যোসেফ ক্যাথিড্রাল চার্চ প্রাঙ্গনে। চার্চে প্রবেশ করে প্রভু যীশুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি চার্চ চত্বরে মেলায় আনন্দ উপভোগ করলেন। সকাল থেকেই চার্চের অভ্যন্তরে মানুষের ঢল। শীতের রোদ গায়ে মেখে চুটিয়ে আনন্দ করতে দেখা গেল ছোট বড় সকলকেই।
চার্চের প্যারিস প্রিষ্ট ফাদার বাবলা মন্ডল বলেন, ২৫শে ডিসেম্বর বড় দিন প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রধান প্রার্থনা সভা উৎসর্গ করেছেন। বুধবার সকালে খ্রিস্ট যজ্ঞ আড়াই ঘণ্টা ধরে উৎসর্গ করা হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বে শান্তি স্থাপন করা। পোপ মহোদয় সকল খ্রিষ্ট বিশ্বাসীকে আবেদন করেছেন বিশ্ব শান্তির প্রার্থনা করার জন্য।
নয়া নির্দেশিকার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সভা গ্রামীণ টোটো চালকদের
রাজেশ সাহা নামের এক দর্শনার্থী বলেন, বুধবার বড়দিন। রায়গঞ্জে এই একটি মাত্র বৃহৎ চার্চ রয়েছে। তাই সকলের সাথে তিনিও এসেছেন প্রভু যীশুকে দর্শন করতে। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা জানানোর পর ঘুরলেন মেলায়। এক কথায় চুটিয়ে উপভোগ করলেন তিনি।
নয়া নির্দেশিকার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সভা গ্রামীণ টোটো চালকদের
নবনীতা পাল নামের অপর এক দর্শনার্থী বলেন, ২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিন। এই বিশেষ দিনটিকে উপভোগ করতে এসেছেন তারা সকলেই। সব সময় ব্যস্ততার মাঝে থাকতে হয়। এই দিনটিতে চুটিয়ে ছুটির আমেজ উপভোগ করেন। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। মানুষ প্রতিবছর এই জায়গাটিকে পরিপূর্ণ করে তোলে।