নিউজ ডেস্ক : আরজি কর কান্ডের আবহেই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। মূক ও বধির গৃহবধূকে রাতের বেলা ফাঁকা জায়গায় মারধর করে ধর্ষনের অভিযোগ উঠল তারই পরিচিত এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত ১৩ই অগাস্ট এই ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের লহুজগ্রাম এলাকার টেগরা গ্রামে। ১৭ তারিখ পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ৬দিন পেরিয়ে গেলেও অধরা অভিযুক্ত। কোথায় দাঁড়িয়ে মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র। দোষীর শাস্তির দাবীতে সরব সকলেই।
আরজিকর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে স্বাস্থ্যভবন অভিযান করেন চিকিৎসকেরা
আরজি করের ঘটনায় একদিকে যখন তোলপাড় গোটা দেশ। মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। শহর থেকে গ্রাম নারী সুরক্ষা ও ধর্ষকদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে আন্দোলনে নামছেন সমস্ত স্তরের মানুষ। সেই সময় খোদ রায়গঞ্জে মূক ও বধির এক গৃহবধূকে মারধর করে ধর্ষনের অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। বর্বরোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের লহুজগ্রাম এলাকার টেগরা গ্রামে। গত ১৩ই অগাষ্ট এই ঘটনটি ঘটার পর ১৭ই অগাষ্ট পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখনও অধরা অভিযুক্ত। নির্যাতিত মহিলার স্বামী জানান, গ্রামে তাদের মিষ্টির দোকান রয়েছে। ১৩ তারিখ রাতে স্বামী স্ত্রী দোকানেই বসেছিলেন।
সেনাজওয়ানদের মঙ্গলকামনায় পালন রাখীবন্ধন উৎসব
সেসময় দোকানে আসেন অভিযুক্ত কারেন শেখ। বসে গল্পগুজবও হয়। এরপর কারেন বাড়ি যাওয়ার জন্য উঠলে মহিলার স্বামী মহিলাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলে। অভিযুক্ত ঐ মহিলাকে পাড়ার কাকিমা হিসেবে সম্বোধন করত। এদিকে কারেন ঐ মহিলাকে সাথে নিয়ে বেড়িয়ে পরে। একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে মারধর করে ধর্ষন করে বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণ বাদে সেখান থেকে লুকিয়ে পালাতে যান মহিলা কিছুটা যাওয়ার পর আবার তাকে ধরে ফেলে কারেন। সেখানে আবার তার উপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। ভোর রাতে বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরে ফেরেন ঐ মহিলা। ২ দিন ধরে মানসিক অবসাদে থাকার পর। ১৭ তারিখ রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অভিযুক্ত অধরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ পরিবার।
আরজিকর কান্ডে তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের
এই ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা হতবাক। পরিচিত ঐ যুবক কিকরে এই ঘটনা ঘটাল তা ভাবতেই শিউরে উঠছেন সকলেই। দোষীর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তারা।স্থানীয়,পঞ্চায়েত সদস্য টুলটুলি দাস জানান, এধরণের ঘটনা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়? দোষীর শাস্তি চাই।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে শিশু মৃত্যু , হাসপাতালে ভাঙচুর
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে নির্যাতিতার বাড়ি যান বিশ্ব বাংলা প্রতিবন্ধী সমিতির জেলা সম্পাদক গৌর সরকার। তিনি ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, বিকৃত মানসিকতার মানুষ সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক। সংগঠনগত ভাবে দোষীর কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তিনি।