স্যালাইন নিয়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তৈরী হয়েছে বিভ্রাট। গত মাস খানেক আগে কর্নাটকে এই রাজ্যের স্যালাইন ব্যবহার করে মৃত্যু হয়েছিল ৪ প্রসূতী। ঐ স্যালাইন সরবরাহ করেছিল পশ্চিমবঙ্গের একটি সংস্থা। সংস্থাটি পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে স্যালাইন সরবরাহে চ্যুক্তিবদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তরফে সরবরাহ করা হয় ঐ স্যালাইন। শুধু কর্নাটক নয় এই রাজ্যের সব সরকারী হাসপাতালে সেই স্যালাইনই ব্যবহার করা হয় বলে সূত্র মারফৎ জানতে পারা গিয়েছে।
রিঙ্গার ল্যাকটেট-সহ ১০টি তরল ওষুধ নিষিদ্ধ করল রাজ্য সরকার
এদিকে সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেও স্যালাইন বিভ্রাটের জেরে এক প্রসূতীর মৃত্যু হয় ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই পরিস্থিতিতে গোটা রাজ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে স্যালাইনকে কেন্দ্র করে। যদিও জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস সেই কোম্পানির স্যালাইনকে ব্ল্যাক লিস্টেড করেছে। কিন্তু তারপরেও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঐ স্যালাইনই ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। আর এতে করে রীতিমতন আতঙ্ক বিরাজ করছে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের পরিজনদের মধ্যে। সাধারণ মানুষ স্যালাইনের মান সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ নন। সুতরাং কিরকম স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে। তা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। তাই আতঙ্ক আরও জোড়ালো হয়েছে। আসিরুল হোসেন নামের এক রোগীর আত্মীয় বলেন, তার শ্বশুর ভর্তি হাসপাতালে। স্যালাইন চলছে। চারিদিকে স্যালাইন নিয়ে যে খবর আসছে তাতে তিনি আতঙ্কিত। উজ্জ্বল বর্মন নামের এক ব্যক্তি বলেন, তার স্ত্রী ভর্তি। কদিন ধরে স্যালাইন চলছিল। স্যালাইন যাতে সঠিক দেওয়া হয় সবাইকে তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাঃ বিদ্যুৎ ব্যানার্জি। শুনব তার প্রতিক্রিয়া।