পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে বেশী করে গাছ লাগানোর বার্তা দিচ্ছে সরকার। তখন অনুমতি ছাড়াই স্কুল চত্বর থেকে বেশ কয়েকটি বহুমূল্য গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল খোদ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। শুক্রবার এই ঘটনা ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
মুক্তি পাচ্ছে কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে নির্মিত ছবি ‘সুকন্যা’
ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ শহরের সোহারই প্রাথমিক স্কুলে। শুক্রবার সকাল থেকে এখানে গাছ কাটার কাজ শুরু হয়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার প্রতিনিধি নারায়ণ শর্মার নির্দেশে শ্রমিকরা কয়েকটি জিগা ও করই গাছ কেটে ফেলেন। এর জন্য স্কুল কিংবা বনবিভাগের কোনোরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে ঘটনার কথা চাউর হতেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
জাতীয় স্তরে বিজ্ঞান মডেল প্রদর্শনীতে সেরা রায়গঞ্জের ছেলে
স্থানীয় বাসিন্দা জিতেন মুর্মু বলেন, ৪ টি গাছ কাটা হয়েছে তাও আবার অনুমতি ছাড়া। সরকারী প্রতিষ্ঠানে এভাবে গাছ কাটা একেবারে অনৈতিক। প্রশাসন বিষয়টা দেখুক।স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা অদিতী সরকার বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে তার কিছু জানা ছিল না। তার কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
কি এমন ঘটল ভিক্টোরিয়ায়, সেনা অভিযানের পর ফিরল স্বস্তি
খবর পেয়ে তিনি স্কুলে এসে দেখেন এই ঘটনা। বিষয়টা পুরোপুরি বেআইনী। তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।এবিষয়ে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যার প্রতিনিধি নারায়ণ শর্মার অবশ্য সাফাই, শিশুদের কথা চিন্তা করে জিগা গাছগুলি কাটা হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্রামাগারে জঞ্জাল এড়াতে করই গাছ কাটা হয়েছে। এরজন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে স্বীকার করেছেন তিনি।এখন প্রশাসন এব্যাপারে কি ব্যাবস্থা গ্রহন করে সেটাই দেখার।