নেই সামান্য টুকু পরিকাঠামো, প্রায় তিরিশ বছরের প্রশিক্ষন কালে জোটে নি তেমন কোনো সরকারি -বেসরকারি সাহা্য্য-তবুও কোনো এক অদৃশ্য জাদুবলে সফল ক্রীড়াবিদ তৈরীর প্রয়াসে মগ্ন রায়গঞ্জের সফল ক্রীড়া প্রশিক্ষক সঞ্জিত যাদব। সম্প্রতি রাজ্য স্কুল অ্যাথলিট মীটে সঞ্জিত বাবুর হাত ধরেই সাফল্য এসেছে কালিয়াগঞ্জের একটি স্কুলে।
হুমায়ুন কবীরকে শোকজ নোটিস পাঠালো দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি
রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া কুলীক নদীর পাড় ঘেষে যে সবুজ অরণ্য,তার ভেতরের একফালি জমিতে প্রায় তিনদশক ধরে সফল ক্রীড়াবিদ তৈরীতে মগ্ন বিশিষ্ট ক্রীড়া প্রশিক্ষক সঞ্জিত যাদব। যদিও সেখানে নেই কোনো ক্রীড়া সরঞ্জাম, সফল অ্যাথলেট গড়ে তোলার নুন্যতম পরিকাঠামো। কিন্তু এই না পাওয়ার দেশেই কোনো এক অদৃশ্য জাদুবলে সফল অ্যাথলেট উঠে আসছে এই সঞ্জিত বাবুর হাত ধরেই। এই তেপান্তরের মাঠের খেলোয়াড়েরা যেন রুপকথার সব চরিত্র।
আবাস যোজনার সার্ভের সময় দুই তৃণমূল কর্মীকে মারধোরের অভিযোগ
যে চরিত্র নির্মাণের ভার সঞ্জিত বাবুর কাঁধে। তাঁর কাছে প্রশিক্ষন নিয়ে, পেটের ক্ষুধা চেপে রেখে অদম্য পরিশ্রমে সাফল্য পেয়েছে এখানকার ক্রীড়াবিদরা। এশিয়ান গেমসের পাশাপাশি জাতীয় ও রাজ্য ক্রীড়া ক্ষেত্রে মিলেছে চোখধাঁধানো সাফল্য। তবে দিনবদলের স্বপ্ন পূরণ হয়নি সঞ্জিতবাবুর। ব্যাক্তিগত জীবনে তীব্র আর্থিক অনটনকে পাশ কাটিয়ে চোয়াল শক্ত করে লড়ে যাচ্ছেন সফল ক্রীড়াবিদ তৈরী করতে। মাঝে মাঝে হতাশা গ্রাস করে শীতের ঘন কুয়াশার মতো।
তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ
কিন্তু তা সাময়িক। ফের মাথা উঁচু করে আলোর সন্ধানে ছুটে চলেছেন সঞ্জিত যাদব। সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ এর তরঙ্গপুর বড়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সোমা বাগচীর অনুরোধে দায়িত্ব নিয়েছেন স্কুলের মেয়েদের খেলাধুলো শেখানোর। এখানেও মিলেছে সাফল্য। রাজ্য স্কুল অ্যাথলেটিক মীটে প্রথম স্থান অধিকার করেছে এই স্কুলের এক ছাত্রী।
বাসস্ট্যান্ডের জন্য শুরু উচ্ছেদ, পুনর্বাসন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা
প্রশিক্ষক জীবনে কেটে গিয়েছে প্রায় তিরিশ টি বছর। তার হাত ধরে রাজ্য ও জাতীয় স্তরের ক্রীড়াক্ষেত্রে সফল হয়েছে রায়গঞ্জের ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু আধুনিক ক্রীড়াক্ষেত্রে যে পরিকাঠামো দরকার তার ছিটেফোঁটা ও মেলে না এই মাঠে। তেমন ভাবে মেলেনি সরকারি -বেসরকারি ক্ষেত্রে কোনো সহযোগিতা। ফলে একরাশ অভিমান ঝড়ে পরে সফল এই ক্রীড়া প্রশিক্ষকের গলায়
আসন্ন জেলা অ্যাথলেট মিটকে সামনে রেখে প্রস্তুতি
কুলীক অরন্যের বুক চিড়ে ছুটে চলেছে একঝাঁক ছেলেমেয়ে। এদের জীবনে দু:খ আছে,আছে ভরপেট খেতে না পাওয়ার যন্ত্রনা। তবুও তারা ছুটছে লক্ষে পৌঁছাতে। পেছন থেকে ক্ষিদদার মতো কেউ কি চিৎকার করছে, ” ফাইট কোনি,ফাইট”! হয়তো এটাই সাফল্যের মূলমন্ত্র সঞ্জিত স্যারের ক্ষেত্রে।