নিউজ ডেস্কঃ জল্পনাকেই এবার সত্যি করলো রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত মিলতেই চালু হলো স্নাতকস্তরে কলেজে ভর্তির কেন্দ্রীয় পোর্টাল। স্নাতকস্তরে ভর্তির সরকারি এই পোর্টালটি বুধবার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।বুধবার পোর্টালটির উদ্বোধন হলেও স্নাতকস্তরে ভর্তির জন্য ২৪ জুন থেকে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন কলেজ পড়ুয়ারা।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করা যাবে আবেদন। ৭ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করা যাবে সরকারি এই পোর্টালে।রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৮ হাজার কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারবে একজন পড়ুয়া। তবে স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থাকবে এই পোর্টালের বাইরে।অর্থাৎ যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধীনে কোনও কলেজ নেই সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই পোর্টালের বাইরে থাকবে।ফলে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বা সংখ্যালঘু বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভর্তি প্রক্রিয়া এই পোর্টালের মাধ্যমে হবে না।
ব্ল্যাক লিস্ট হওয়া কোম্পানী তুললো কাটমানির অভিযোগ
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে কলেজে ভর্তির জন্য পোর্টালের উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, পোর্টালে সর্বোচ্চ ২৪ বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন একজন পড়ুয়া। প্রথম দফায় ভর্তি শেষ হওয়ার পর ফাঁকা থাকা আসনগুলিতে দ্বিতীয় দফার ভর্তি শুরু হবে।পড়ুয়ারা আবেদন করতে পারবেন বিনামূল্যে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, স্নাতকস্তরে ভর্তিতে স্বচ্ছতা আনতেই এই পোর্টাল। ফলে ক্লাস শুরুর আগে পড়ুয়াদের আর কলেজে আসতে হবে না। প্রয়োজন পড়বে না ছাত্র পরিষদের সাহায্যের বা কোনও হেল্প ডেস্ক চালুর।কলেজে পড়ুয়াদের ভর্তির বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে নয়া উদ্যোগ রাজ্যের।অনলাইন পোর্টাল চালুর ফলে একদিকে যেমন একজন পড়ুয়া একাধিক কলেজে ভর্তি হতে পারবেন না তেমনই কলেজে ফাঁকা থাকা আসনে দ্রুত ভর্তি করা সম্ভব হবে।গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রাখতে স্নাতকস্তরে ভর্তি হবে মেধার ভিত্তিতে।তবে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে ২০১১ সালের পর রাজ্যের দেওয়া ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হলেও সেই রায় মানেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন মোহিত সেনগুপ্ত
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধানন্ত নেওয়া হয়েছে।ফলে রাজ্যের দেওয়া ওবিসি শংসাপত্র কোনওভাবেই এখনই বাতিল বলে ধরা যায় না।সেকারনে স্নাতকস্তরে ভর্তিতে পুরনো নিয়মেই আসন সংরক্ষনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া চালানো হবে।অন্যদিকে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন,২০২৪ সালেই বহু স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করেছে রাজ্য।স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই করা হয়েছে নিয়োগ।আগামীতে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য।