নিউজ ডেস্ক , ৩০ নভেম্বর : হিমঘরে আলু মজুতকরণের মেয়াদ ঘিরে জটিলতা। যার জেরে সমস্যায় পরেছেন রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার আলুচাষীরা। এই ঘটনা ঘিরে জেলাজুড়ে কৃষকদের মধ্যে তৈরী হয়েছে অসন্তোষ। জানা গিয়েছে, চলতি বছরে এ জেলায় আলুর ফলন যথেষ্ট ভালো হয়েছে। ফলে বাজার ছেয়েছে আলুতে।
এক অসহায় মহিলার হোটেল উচ্ছেদের অভিযোগ প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে
ফলন অধিক হওয়ায় বাজারে দাম নেমে গিয়েছে আলুর। ফলে কৃষকদের ঘরে রয়ে যাচ্ছে বাড়তি আলু। এই পরিস্থিতিতে একটাই ভরসা হিমঘর। কিন্তু সেখানেও তৈরী হয়েছে জটিলতা। হিমঘরে আলুর মজুতকরণের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আলু বের করে নিতে হবে কৃষকদের। এই আলু নিয়ে কোথায় যাবেন তারা। তা নিয়েই তৈরী হয়েছে ঘোর সংশয়। কেননা এখন ৩-৪ দিন আলু বাইরে রাখলপই তা পচে যাবে। বাজারেও এখন আলুর দাম নেই।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে মিউজিয়াম উদ্বোধন
তাই গবাদি পশুর খাবার ছাড়া আর কোনো কাজেই লাগবে না আলু। এদিকে বহু অর্থ খরচ করে বিঘার পর বিঘা আলু চাষ করেছিলেন চাষীরা। এখন ফলন এভাবে নষ্ট হলে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। দুবেলা খাবার জোটানো দায় হয়ে পরবে। আলুচাষী আব্দুল আজিজ, আব্দুল রাজ্জাকদের দাবী, হিমঘর কর্তৃপক্ষ আলু বের করে নিতে বলছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি হস্তক্ষেপ চাইছেন চাষীরা। আলু মজুতকরনের সময়সীমা বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন। নাহলে আগামী মরশুমে আলু চাষ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
পকেটমারের কবলে এক ফেরিওয়ালা, খোয়া গেল নগদ তিরিশ হাজার টাকা
রায়গঞ্জের পানিশালায় অবস্থিত হিমঘরের মালিক দিলীপ সাহা সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানান, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক ৩০ শে নভেম্বর পর্যন্ত আলু রাখতে পারবে কৃষকরা। সেই অনুসারে বৃহস্পতিবার শেষ দিন। এখনও পর্যন্ত ২০ শতাংশ আলু রাখা আছে। এই আলু বের না করলে আগামী মরশুমের জন্য হিমঘর প্রস্তত করা সম্ভব হবে না। এছাড়াও বাড়তি খরচ বহন করতে হবে। আবার অন্যদিকে এই আলু এখন ফেরত নিলে মন্দা বাজারে সমস্যায় পরবেন চাষীরা। তাই বিষয়টিকে কৃষি মন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করছেন দিলীপ বাবু। যদিও জেলা কৃষি বিপণণ দপ্তরের আধিকারিক সন্দিপণ রায় এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি। তার কাছে প্রতিক্রিয়া চাইলে ক্যামেরার সামনে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এখন কোন পথে এই সমস্যা মেটে সেটাই দেখার।