রায়গঞ্জ, ১৮ অক্টোবর : দুষ্কৃতিদের গুলিতে মৃত্যু হল উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব মোর্চার সম্পাদক সভাপতি মিঠুন ঘোষের। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার রাজগ্রাম এলাকায়। মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দাপটের সঙ্গে বিজেপি দলের সমর্থন করত মিঠুন।
সে কারণে এলাকার তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা মিঠুনকে খুনের হুমকি দিত। বিগত নির্বাচনগুলোতে তাকে বিজেপির হয়ে কাজ করতে বাধা দিত। কিন্তু লড়াকু মনোভাবের মিঠুনকে দমাতে না পেরেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।আমরা এই ঘটনায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব জেলাজুড়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে ইটাহারে। জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ মিঠুন ঘোষ (৩৭) বাড়িতে এসে বাড়ির বাইরে বেরোলেই দুষ্কৃতীরা তার পেটে গুলি করে পালায়। এরপর তাকে তড়িঘড়ি রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরিন্দম সরকার বলেন,এই ধরনের খুনের ঘটনায় খুব সহজেই বিজেপির লোকেরা তৃণমূলের নাম জুড়ে দেয়। যা সঠিক নয়। পুলিশের বড় কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। কি কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা জানার পরেই আমি বিস্তারিতভাবে মন্তব্য করব। অন্যদিকে, সোমবার রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আর্ষ ভার্মা বলেন, মিঠুন ঘোষ হত্যাকাণ্ডে দুজন অভিযুক্তের নাম সামনে এসেছে। যার মধ্যে সন্তোষ মহন্ত ওরফে মুখিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর হামলাকারী সুকুমার ঘোষের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন যোগ নেই। অভিযুক্তরা মিঠুন ঘোষের পরিচিত।এমনকি তারা রবিবার রাতে একসাথে একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়াও করেছে বলে দাবি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে