নিউজ ডেস্ক : আগ্রাসী নদী ক্রমশই গ্রাস করছে বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতিদিনই ভাঙছে নদীর পাড়। মালদার মানিকচকের ভুতনি চরের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এলেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।অপরদিকে ভুতনির ভয়াবহ ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখলেন আরসিটিভি সংবাদের প্রতিনিধি।
প্রতিশ্রুতি রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়
ক্রমশই ভাঙছে নদীর পাড়। আগ্রাসী নদী গ্রাস করছে একের পর এক জনপদ। নদীভাঙনে রাতের ঘুম উড়েছে মালদা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের। যার মধ্যে নদীভাঙন তীব্র আকার নিয়েছে মানিকচক ভুতনির কেশবপুর এবং কাল্টনটোলা এলাকায়। নদী ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসীরা। এবারে ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে এলেন প্রশাসনিক কর্তারা। এদিনের এই পরিদর্শন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং, মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিংকি মন্ডল, জেলা পরিষদের সদস্য জয়শ্রী মন্ডল, ভুতনি থানার ওসি পবিত্র কুমার মাহাতো, মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি আমিনা খাতুন অন্যান্যরা।
দূর্ঘটনায় একই স্কুলের ২ শিক্ষকের মৃত্যুতে ভারাক্রান্ত গোটা গ্রাম
তারা কথা বলেন এলাকাবাসীদের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, একদিকে গঙ্গা নদী অপরদিকে কোষী নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে চিন্তার ভাঁজ নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। কেননা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির পর এই এলাকায় শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙন। ভাঙনের সমস্যা এলাকায় দীর্ঘদিনের। কেমন আছেন সেখানকার মানুষেরা ? এবিষয়ে খোঁজ খবর নিতে আমাদের আর সি টিভি সংবাদের প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিল সেই এলাকায়। তবে সেখানে গিয়ে দেখা গেল পরিস্থিতি যেন বেশ ভয়াবহ। পাড় ভাঙার দৃশ্য এলাকাজুড়ে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই নদী ভাঙন দীর্ঘদিনের। বিঘার পর বিঘা জমি চলে গিয়েছে নদীগর্ভে।
এএনএম-জিএনএম পরীক্ষার হলে মোবাইলে টুকলি, আটক ৯
ভিটেমাটি হারিয়ে অনেক মানুষ সর্বশান্ত হয়েছেন। অনেকেই পরিবার নিয়ে চলে গিয়েছেন অন্য জায়গায়। কিন্তু এখনও ভাঙনরোধে স্থায়ী কোন ব্যবস্থা করতে পারেনি প্রশাসন। নদীভাঙনের ছবি এলাকায় স্পষ্ট। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পাড় ভাঙার ভয়ঙ্কর দৃশ্য। যখন তখন খসে পড়ছে মাটি। প্রশাসন যে ভাবে ভাঙন রোধের চেষ্টা করেছে তা মোটেও কার্যকরি হতে দেয়নি আগ্রাসী নদী। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে। সর্বহারা মানুষগুলোকে আরও বিপদের সম্মুখীন হতে হবে এই ভেবে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। অপরদিকে এমন পরিস্থিতিতে এলাকায় পরিদর্শনে আসেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। নদীভাঙন ঠেকাতে তড়িঘড়ি রিং বাঁধ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তারা। ভাঙন আটকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর মহকুমা শাসক। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। পাশাপাশি নদী ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। এখন কতদিনে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় সেদিকেই তাকিয়ে এলাকার বাসিন্দারা।