নদী ভাঙনে জেরবার মালদা জেলার মানিকচকের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। ভোর রাত থেকে ফের নতুন করে নদী ভাঙন লক্ষ্য করা যায় মানিকচক ঘাট এলাকায়। নদীভাঙন রোধে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে কাজ চললেও স্থায়ী সমাধান আজও হয়নি নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।
আচমকা ইঞ্জিন বিকল রাধিকাপুর শিলিগুড়ি ইন্টারসিটির
কথায় আছে, ‘নদীর ধারে বাস, তাই ভাবনা বারো মাস।’ ক্রমশই পাড় ভাঙছে আগ্রাসী নদী।নতুন করে আবারও নদী ভাঙনে রাতের ঘুম উড়েছে মালদা জেলার মানিকচকের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের। এই এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে গঙ্গা নদী। প্রতিবছরই ভাঙন আতঙ্ক গ্রাস করে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। তবে সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত আচমকাই মানিকচক ঘাটে ব্যাপকভাবে নদীভাঙনের ছবি ধরা পড়েছে।
ট্যাব দূর্নীতি কান্ডে এবারে গ্রেফতার চোপড়ার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক
নদী ভাঙনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন নদীপাড়ের এক বাসিন্দা। কি জানিয়েছেন তিনি শোনাবো আপনাদের। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙনের ভয়াবহ ছবি। ভাঙনের গ্রাসে অসংখ্য দোকান সহ বাড়িঘর। ঘটনার পর কার্যত দিশেহারা মানিকচক ঘাট এলাকার বাসিন্দারা। সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় খেয়া পারাপার পরিষেবা। ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।উল্লেখ্য, সোমবার মালদা জেলার মানিকচকে নদী ভাঙনের পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। নদীভাঙন রোধে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন রাজ্যের মন্ত্রী। আর এরপরই সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভয়াবহ ভাঙনের ছবি নজরে আসে মানিকচক ঘাট এলাকায়। অপরদিকে ভাঙন কবলিত এলাকায় আসেন মানিকচক থানার পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন এবং কথা বলেন এলাকার মানুষদের সাথে। এর পাশাপাশি ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার ব্যবস্থাও করেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।