আরসিটিভি সংবাদ : দুটি কিডনিই বিকল বন্ধুর, নতুন ভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজন কয়েক লক্ষ টাকার। সেই টাকা যোগাড় করতে এবারে এগিয়ে এলেন বন্ধুরা। পথ চলতি মানুষদের কাছে হাতে প্লাস্টিকের কৌটো নিয়ে বন্ধুর জন্য অনুদান তুলতে দেখা গেল তাদের। মালদার মানিকচকের এই ঘটনা নজর কেড়েছে সকলের।
দুটি কিডনিই বিকল বন্ধুর, নতুনভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজন কয়েক লক্ষ টাকার। কিন্তু ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা করাতে অসমর্থ দুঃস্থ পরিবারটি। সেই টাকা যোগাড় করতে এবারে এগিয়ে এলেন বন্ধুরা। বন্ধুর চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এলেন তারা।
পথ চলতি মানুষদের কাছে হাতে প্লাস্টিকের কৌটো নিয়ে বিশালের জন্য অনুদান তুলতে দেখা গেল তার বন্ধুদের। কৌটোর গায়ে লেখা হেলফ ফর বিশাল। মালদার মানিকচকে এমন ঘটনা নজর এড়িয়ে যায়নি কারও। বন্ধুদের মানবিক এই ভূমিকা দেখে মুখ ফেরাতে পারেননি কেউ। পাঁচ টাকা, দশ টাকা, কুড়ি টাকা কিংবা পঞ্চাশ টাকা যার যেমন সামর্থ্য দান করার পাশাপাশি তারা সকলেই বিশালের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। জানা গিয়েছে, মানিকচকের সিংহপাড়া এলাকার বাসিন্দা বছর ২৪ এর বিশাল প্রামানিক।
আরও পড়ুন – হেমতাবাদে বাস-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ ! আহত ২০
মানিকচক শিক্ষানিকেতন হাই স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ হয়ে তার বাবার তৈরি সেলুনেই রোজগার করে সংসার চালাতে হয় তাকে। বাবা গৌর প্রামানিক বছর দুয়েক আগে মারা যান। পরিবারে রয়েছে মা, বোন এবং ঠাকুমা। অতি কষ্টে দিন গুজরান করেন তারা। তবে হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে বিশাল। মালদা শহরের একটি বেসরকারি প্যাথলজি সেন্টার থেকে রিপোর্ট করানোর পর জানা যায়, তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে পড়েছে। নতুনভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজন কয়েক লক্ষ টাকার।
আরও পড়ুন – একেই বলে সাফল্য! বিডিও হলেন শ্রমিকের ছেলে
কিডনি প্রতিস্থাপন করার এই বিপুল অর্থ কোথা থেকে জোগাড় হবে তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা।এরকম পরিস্থিতিতেই বন্ধুরাই একজোট হয়ে নামে রাস্তায়। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, পথ চলতি মানুষদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বন্ধুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে ব্যাঙ্গালোরে। এখন সে চিকিৎসাধীন ব্যাঙ্গালোরে।বিশাল সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক এই কামনায় এখন মানিকচকবাসী। ক্যামেরার সামনে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন তার পরিবারের সদস্য প্রতিমা প্রামাণিক। বিশালের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি