আর সি টিভি সংবাদ , ১৩মার্চ :শিক্ষক নিয়োগে দূর্নীতির অভিযোগ ঘিরে যখন তোলপাড় সারা রাজ্য। সেই মুহূর্তে এবারে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি নিয়োগ ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যাপীঠে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম তিলক সরকার। তিনি যুব তৃনমূলের জেলা সহ সভাপতি পদে রয়েছেন। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি করেছেন রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মলয় সরকার। ইতিমধ্যেই তিনি স্কুল ইন্সপেক্টরকে লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েছেন। সোমবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরের লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন – নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা
এই ঘটনার জেরে ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। মলয় বাবু বলেন, তিলক সরকার সম্পূর্ন অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে বসেছেন। মলয়বাবুর দাবী, এই পদে বসার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য পরিবেশন করেছেন তিলক। অভিযোগ, স্নাতক স্তরে পড়াশোনার জাল শংসাপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এবিষয়ে সন্দেহ হতেই তথ্য জানার অধিকার আইন (RTI)-র সাহায্য নেন মলয় সরকার। তার দাবী, তিনি সেই আইন বলে জানতে পারেন উত্তরপ্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশের তথ্য দেওয়া হয়েছে। এরপর মলয়বাবু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেখানেও তিলকের উচ্চ শিক্ষার কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি বলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে মেইল করে জানানো হয়। এমনটাই দাবী অভিযোগকারির। এরপরই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তিনি। মলয় সরকারের দাবী, তিলক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের ঘনিষ্ঠ। এক্ষেত্রে মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন – হিমঘরে হুড়োহুড়ি ! আলুর বন্ড নিতে গিয়ে পদপিষ্ট ১৩
আমরা এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তিলক সরকারের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করেছিলাম। তিনি অভিযোগ অস্বীকারের পাশাপাশি মলয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন।অন্যদিকে অভিযোগ হাতে এলে তা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মুরারী মোহন মন্ডল।
আরও পড়ুন – মহার্ঘভাতার দাবিতে সরকারী কর্মীদের ধর্মঘট
নিয়োগ দূর্নীতি ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কুন্তল-শান্তনুকে নিয়ে চলছে জোড় চর্চা। তার মধ্যে ফের তিলক সরকারের মত যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসায় চাপ বাড়ছে শাসক দলের অন্দরে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।