নিউজ ডেস্ক , ১২ ডিসেম্বর : বিল না মেটাতে পারার জন্য নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না পরিযায়ী শ্রমিক। বকেয়া বিলের টাকা জোগাতে সাহায্যের আর্জি পরিবারের। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের পিপলা গ্রামের বাসিন্দা গণেশ দাস মাসখানেক আগে শ্রমিকের কাজ সেরে দিল্লি থেকে ফিরছিলেন।
অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ, পথ অবরোধ ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীদের
চলন্ত ট্রেন থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হন। প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। তারপর স্থানান্তরিত করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু সেখানেও ঠিকঠাক চিকিৎসা না হওয়ায় পরিবারের লোকেরা পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারের পূর্ণিয়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন তাকে। পায়ে গুরুতর চোট থাকার জন্য অস্ত্রোপচার হয় গণেশ দাসের। প্রথম অবস্থায় নিজেদের জমানো টাকা এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সাহায্য তুলে চলে চিকিৎসা। কিন্তু দীর্ঘ একমাসের চিকিৎসার পর নার্সিংহোমের বিল হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা।
শহরে ফের দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য
এই বিল মেটাতে না পারায় নার্সিংহোম থেকে ছাড়া হচ্ছেনা গণেশ দাসকে। তার স্ত্রী এবং মা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন অর্থ সাহায্যের জন্য।স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের কাছেও যান তারা।কিন্তু তেমনভাবে সাহায্য মেলেনি। নেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও। এলাকাবাসী ও কিছু ছোট ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন অর্থ সাহায্য করলেও তা বকেয়া বিলের থেকে অনেকটাই কম।ফলে সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে অসহায় এই পরিবারটি।