নিউজ ডেস্ক , ৬ ডিসেম্বর : কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধানক্রয় করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই ধানক্রয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে ধলতা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। এমনকী মেলেনি বন্যার ক্ষতিপূরণ। এই ঘটনাতে বিক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে কৃষকদের মধ্যে। যদিও শীঘ্রই কৃষকদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস জেলা কৃষি দফতরের।
কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, ঘটনায় অভিযোগ দায়ের
অন্যান্য বারের মত এবারও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুরু হয়েছে নায্যমূল্যে ধানক্রয়। কিন্তু কিষাণ মান্ডিতে এসে সেই ধানবিক্রি করতে এসে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের।গোটা মালদা জেলাজুড়েই
কৃষকদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে ধানক্রয়ে।এমনকি উঠেছে ধলতা নেওয়ার অভিযোগও। মালদা,গাজোল ,হরিশ্চন্দ্রপুর সহ বিভিন্ন ব্লকে কিষাণ মান্ডিতে বেশি পরিমাণে ধলতা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষুব্ধ কৃষকদের অভিযোগ, যেখানে ২ থেকে ৩ কিলো ধলতা নেওয়ার কথা। সেখানে প্রতিটি চরেই পাঁচ থেকে ছয় কিলো ধলতা নেওয়া হচ্ছে।
কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, ঘটনায় অভিযোগ দায়ের
পাশাপাশি জেলার বামনগোলা, হবিবপুর এবং গাজোল ব্লকে গতবছর বন্যায় চাষের জমি ডুবে গিয়েছিল। কৃষি দফতরের সার্ভের পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু বছর ঘুরতে চললেও সেই ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে কৃষকদের মধ্যে। যদিও এবিষয়ে জেলার কৃষি দফতরের আধিকারিক দেবনাথ মজুমদার জানিয়েছেন, ধলতা নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ এসছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। পাশাপাশি শীঘ্রই ক্ষতিপূরণ প্রদান করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।অন্যদিকে কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ধলতা নেওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছে গাজোলের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময়দেব বর্মণ।তবে মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য দীনেশ টুডু দাবী করেছেন, এরাজ্যে কৃষকদের জন্যে প্রভূত উন্নয়ন করা হয়েছে। কৃষকদের উন্নয়নে নেওয়া হয়েছে নানান সরকারি প্রকল্পও।