মানিকচক, ২ জুলাই : ঝাড়খন্ড পুলিশের জুলুমবাজির প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করলেন মালদার মানিকচকের রাজমহল ঘাটের মাঝিরা। অভিযোগ, যাত্রী নিয়ে রাজমহল ঘাট থেকে ওপারে গেলে ঝাড়খন্ড পুলিশ তাদের ওপর বিভিন্নভাবে জুলুমবাজি এবং হয়রানি করছে।
জলপথে এই সমস্যার ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাজমহল ঘাট এর মাঝিরা। উল্লেখ্য, প্রতিদিন মানিকচকের রাজমহল ঘাট থেকে জলপথে প্রচুর মানুষ ঝাড়খন্ডে যাতায়াত করেন। এই রাজমহল ঘাটের ওপর নির্ভর করতে হয় ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষকে। কিন্তু এখান থেকে নৌকা নিয়ে ঝাড়খন্ডে পৌঁছালে সেখানকার পুলিশ মাঝিদের উপর বিভিন্নভাবে জুলুমবাজি করে আসছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাদের মারধোর করে ঝাড়খন্ড পুলিশ থানায় নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ মাঝিদের। ঘটনা প্রসঙ্গে মানিকচক ঘাট এর নৌকার মাঝিরা জানান, বহু বছর ধরে তারা নৌকা পারাপার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে একাধিকবার বন্ধ হয়ে গেছে পারাপার। তবে সম্প্রীতির কারণে প্রশাসনের তরফে যাত্রীসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে নৌকা পারাপারের ক্ষেত্রে। কিন্তু ওপারে ঝাড়খন্ড পুলিশ অত্যাচার চালাচ্ছে মাঝিদের ওপর। অভিযোগ, যাত্রী নিয়ে নৌকো ওপারে গেলেই পুলিশ মাঝিদের মারধর করছে এমনকি আটক করে থানায় নিয়ে যাচ্ছে। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নৌকার মাঝিরা। তাই সুবিচারের চেয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই নদীপথে নৌকা চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রেখে আন্দোলনের পথে নৌকার মাঝিরা। তাদের দাবি, প্রশাসন মাঝিদের সমস্যার দ্রুত সমাধান করে সুষ্ঠুভাবে নৌকো চলাচলের ব্যবস্থা করুক। তা না হলে বন্ধ থাকবে নৌকা চলাচল। এর প্রতিবাদে শুক্রবার ঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেন তাঁরা। এঘটনায় সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। যাত্রীরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ ব্যবসা কাজকর্মের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত ও তাদের পারাপার করতে হয়। কিন্তু এভাবে হঠাৎ করে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে কি করে তারা বাড়ি ফিরবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না। দ্রুত কোন ব্যবস্থা করে সকল যাত্রীকে ওপারে ফেরানোর ব্যবস্থা হোক সেই দাবি ওপারের যাত্রীদের। যদিও সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নৌকা চলাচল বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাঝিরা। অপরদিকে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মন্ডল জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে খুব শীঘ্রই সমস্যা সমাধান করা হবে।
আরও খবর পড়ুন : শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল দলেরই একাংশ