নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১১ এপ্রিল : নির্বাচনী কর্মীসভা থেকে ফেরার পথে দুষ্কৃতিদের হাতে নিগৃহীত হলেন দক্ষিণ মালদা সংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ও মানিকচক বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক মোত্তাকিন আলম।
মারধোরের পাশাপাশি ভাঙ্গচুর করা হয় তাদের গাড়িতেও।রবিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক বিধানসভার অন্তর্গত ইংরেজবাজার ব্লকের ফুলবাড়িয়া -পূর্বনগরিয়া গ্রামে। এদিন সকালে ফুলবাড়ি এক গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব নগরিয়া এলাকায় কর্মীসভা করে ফেরার সময় হঠাৎই ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাহিদুল শেখ নেতৃত্বে প্রায় প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মী দলীয় ঝান্ডা নিয়ে মানিকচক বিধানসভার প্রার্থী মোত্তাকিন আলম এবং সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী গাড়ির ওপর হামলা চালায়। শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় প্রার্থী মোত্তাকিন আলমকে।ঘটনায় মানিকচকের তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্র ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ। সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, এদিন সভা শেষে ফেরার পথেই কনভয়ে হামলা করা হয়। গাড়ি ভাঙ্গচুর, প্রার্থীকে মারধোরও করা হয়। অন্যদিকে মানিকচকের বিদায়ী বিধায়ক তথা এবারের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মোত্তাকিন আলম জানিয়েছেন, এদিন ফুলবাড়ি এলাকায় কর্মীসভা সেরে ফেরার পথে পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী হাসুয়া, লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে।গাড়িগুলিকে ভেঙ্গেছে তারা। এমনকী তাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতিরা। কোনরকমভাবে বেঁচে ফিরেছে তারা। সাবিত্রী মিত্র গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে ভোটদানে বাধা দিয়েছে, ভোট লুঠ করেছে। একইভাবে এবারে প্রার্থীর ওপরে হামলা করেছে তারা।এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ইংরেজবাজার থানায়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানান নিগৃহীত প্রার্থী ও সাংসদ। অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস কর্মীরা ।যদিও তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্র জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তবে হামলার ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু জানিয়েছেন, মূলত সাংসদ ও বিদায়ী বিধায়ক প্রচারের আলোয় আসার জন্য এই কাজ করেছে। বিদায়ী বিধায়ক মোত্তাকিন আলম গত ৫বছরে কোন কাজ করেননি। সভার পরে এনিয়ে গ্রামবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। সেসময় বিদায়ী বিধায়ক তথা প্রার্থী কটূক্তি করলে তা থেকে গন্ডগোলের সূত্রপাত বলে দাবী করেন তিনি।