নিউজ ডেস্ক: বাজারে জিনিসপত্রের দাম উর্ধ্বমুখী। সমস্ত সবজির দাম বেড়ে গিয়েছে চড় চড়িয়ে। বাজারে এসে মধ্যবিত্তের পকেটে লাগছে ছ্যাঁকা। এই পরিস্থিতিতে চরম শোচনীয় অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন সকলেই। এই সমস্যা সমাধামের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কড়া দাওয়াই দিয়েছেন। বাজারে যাতে জিনিসপত্র দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে তার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বাজার গুলিতে টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই সার। আদতে তার কোনো প্রভাবই দেখা গেল না রায়গঞ্জের বাজার গুলিতে। সাধারণ মানুস বাজারে এসে মাথায় হাত দিচ্ছেন। এক নজরে দেখে নেব বুধবারের বাজার দর।
আলু ৩০ টাকা কেজি
পিঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা কেজি
লঙ্কা ১২০ টাকা কেজি
পটল ৩৫-৪০ টাকা কেজি
ঝিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা কেজি।
রসুন ২২০ টাকা কেজি।
আদা ২০০ টাকা কেজি।
বেগুন ৮০ টাকা কেজি
কুয়াস ৫০-৬০ টাকা কেজি
ভেন্ডি ৪০ টাকা কেজি।
কড়লা ৬০ টাকা কেজি।
মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা কেজি।
চালকুমড়া ৪০ টাকা কেজি।
মূলা ৬০ টাকা কেজি।
টমেটো ১০০-১২০ টাকা কেজি
ওল ১২০ টাকা কেজি।
এই দামদর দেখে খাওয়ার ইচ্ছেটাই ভুলতে বসেছেন মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষ।
সঞ্জয় গোস্বামী নামের এক বিক্রেতা জানিয়েছেন, বর্ষার কারণে এমনটা হয়েছে। পাশাপাশি পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেশি। পরিবহন খরচ বেশি থাকায় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়েছে।গোবিন্দ সাহা নামের অপরাধ বিক্রেতা জানান, মালের আমদানি কম। প্রচুর পরিমাণে আলু খারাপ বের হচ্ছে বস্তা থেকে। যার জেনে দাম স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে গিয়েছে।
দেওরকে আটকে মুক্তিপণ দাবী বৌদির
উৎপল কর্মকার নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে এসে পকেটে ছ্যাঁকা লাগছে। সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের সমস্যা। জিনিসপত্রের দাম খুব বেশি। মুখ্যমন্ত্রীর দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। কিন্তু এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী মাল স্টক করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।অনিমেষ চৌধুরী নামের এক ক্রেতা জানান, বাজারে খুব খারাপ অবস্থা। স্বাভাবিক হারে দাম বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু তার প্রভাব বাজারে দেখা যাচ্ছে না।