নিউজ ডেস্ক , রায়গঞ্জ ,৯ রা মে :শুধুমাত্র একটা ফোন করলেই গভীর রাতে জরুরি পরিস্থিতিতে পেয়ে যাবেন গাড়ি। সেই গাড়িতেই সাধারন গরীব মানুষ পরিবারের অসুস্থ ব্যক্তিকে দ্রুততার সাথে নিয়ে যেতে পারবেন হাসপাতালে।
নিশ্চই ভাবছেন কোনো অত্যাধুনিক সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের কথা বলছি। একদমই নয়। এই গাড়িটি সমাজকর্মী সফিকুল দার গাড়ি হিসেবে পরিচিত।ঈশ্বর হোক বা আল্লাহ। মানুষের সেবাই পরম ধর্ম সেই আদর্শকে পাথেয় করেই পরিষেবা দিয়ে চলেছেন রায়গঞ্জ ব্লকের ভিটিয়ারের বাসিন্দা সফিকুল হক্। তিনি জানান, ২০১৪ সালে এক ভয়ঙ্কর বাস্তবের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। গাড়ির অভাবে সময়মত অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি। যার জন্য পিতৃ বিয়োগ ঘটে তার। সেই অভিজ্ঞতা আজও তার অন্তরকে নাড়িয়ে তোলে। পরবর্তীতে নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গাড়ি কেনেন। তারপর তিনি শুরু করেন এই সমাজ সেবামূলক কার্যক্রম। আরসিটিভিকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সাধারনত দিনের বেলা প্রচুর গাড়ি মেলে।
ছোট্ট কলি পাড়ি দিল আমেরিকার উদ্দেশ্যে
কিন্তু রাতের আঁধারে গ্রামগঞ্জে চলেনা গাড়ি। মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে অনেক অসাধু গারিচালক বেশী ভাড়া চেয়ে বসেন। সে সময় চরম দূর্ভোগে পরতে হয় অসুস্থ ও তার পরিবারকে। তাই তিনি রাত্রিকালীন পরিষেবা দেন একেবারেই বিনামূল্যে। যত রাতই হোক সফিকুলকে একটা ফোন করলেই অসহায় গরীব পরিবারের অসুস্থ মানুষকে নিজের গাড়িতে করে সযত্নে হাসপাতালে পৌছে দেন তিনি। ভিটিয়ার সহ সংলগ্ন একাধিক গ্রাম এমনি পার্শ্ববর্তী বিহারের একাংশ মানুষ এই সুবিধে পেয়ে থাকেন।
বর্তমানে তার ডেকোরেটার্সের ব্যবসা রয়েছে। সেখান থেকে উপার্জিত অর্থের কিছুটা এই কাজে ব্যায় করেন তিনি। সকলকে এভাবেই এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন সকলের প্রিয় সফিকুল দা।সফিকুল হকের এই পরোপকারী মনোভাবের জেরে খুশী গ্রামের সাধারন মানুষ। তারা প্রান ভরে আশীর্ব্বাদ করেন এই সমাজ কর্মীকে।