নিউজ ডেস্ক , রায়গঞ্জ , ৪রা মে : আয়কর দপ্তরের আধিকারিকদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে রেহাই পেলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী। প্রায় ত্রিশ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন সুদর্শনপুরে অবস্থিত বিধায়কের অফিস থেকে বেড়িয়ে যান আয়কর দপ্তরের আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। এরকিছুক্ষন বাদেই অফিস থেকে বাইরে বেড়িয়ে আসেন কৃষ্ণ বাবু। তাকে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পরে দলীয় কর্মী সমর্থকেরা। অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটেই অফিস থেকে নিজের বাড়িতে ফেরেন বিধায়ক।
আয়কর দপ্তরের ঘেরাটোপে কৃষ্ণ,তুঙ্গে রাজনৈতিক তর্জা
উল্লেখ্য বুধবার সকালে আচমকাই রায়গঞ্জে অবস্থিত বিধায়কের বাড়িতে হানা দেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে গোটা বাড়ি ঘিরে শুরু হয় তল্লাসী। খবর পেয়ে বিধস্যকের বাড়ির সামনে চলে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস, ভাইস প্রেসিডেন্ট অরিন্দম সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। আসেন রায়গঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলর গনও। তৃণমূল নেতৃত্ব গোটা বিষয়টিকে বিজেপির চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেন। এদিন ভোররাতে বিধায়ক কে নিয়ে আধিকারিক দের একটি টীম বিধায়কের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সোজা চলে আসেন শিলিগুড়ি মোড়ে অবস্থিত বিধায়কের অফিসে। ভোররাত থেকে এখানেই শুরু হয় ফের জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব।
কৃষ্ণর বাড়ি হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা
বেলা বাড়তেই অফিসের গেটে নিয়ে আসা হয় আরো কেন্দ্রীয় বাহিনী। সবমিলিয়ে আশঙ্কা বাড়তে থাকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। অবশেষে দুপুর দুটো নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বিধায়কের অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যান তদন্তকারী অফিসারেরা। এর কিছুক্ষন বাদেই বাইরে বেড়িয়ে আসেন বিধায়ক। বিধায়ক সামনে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পরেন তার অনুগামীরা। অফিস থেকে বাড়ি পর্যন্ত পথ দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পায়ে হেটেই ফেরেন কৃষ্ণবাবু। সাংবাদিকদের মুকগোমুখি হয়ে বিধায়ক বলেন,” আমি হোয়াইট কলারের মানুষ। আমাকে কালো করা যাবে না। কোনো দুর্নীতি করিনি।বিধায়ক আরো বলেন,” আমার কাছ থেকে বে আইনী কোনো কিছু পায় নি আধিকারিকেরা। বেশ কিছু নথিপত্রে সই করিয়ে নিয়ে গিয়েছে। যতটা পেড়েছি নথি পরেই সই করেছি। আধিকারিকেরা কোনো খারাপ ব্যবহার করেনি।
কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সাধারন মানুষ যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিধায়ক।