আরসিটিভি সংবাদ :সরকারি প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যবাসীদের মধ্যে পৌঁছে দিতে দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হল উপভোক্তাদের।ফলে শিবিরে ভাঙ্গচুর চালালো ক্ষুব্ধ উপভোক্তারা। গোটা ঘটনায় বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য ছড়ালো উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আগডিমটিখন্তি অঞ্চলের দিঘলবস্তি এলাকায়। জানা গিয়েছে স্থানীয় দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এদিন এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি সুবিধা পেতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গ্রামবাসিরা হাজির হয়েছিলেন শিবিরে। কিন্তু সকাল সাড়ে দশটায় ক্যাম্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও, বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কর্মীরা ক্যাম্পে উপস্থিত হতে শুরু করেন।একেই সময়ের অনেক পরে কাজ চালু হয়, তার ওপরে সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র অপ্রতুল হওয়ায়, ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন – রায়গঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে ধর্ষনের অভিযোগ
দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি তৃনমূল অঞ্চল সভাপতি আকবর আলী।সাধারন মানুষকে সাহায্য করতেই সকাল সকাল তিনি ক্যাম্পে হাজির হয়েছিল।দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থেকেও ক্যাম্প চালু না হওয়ায় ক্ষোভ সরকারি কর্মী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুন – গাজোলে জাতীয় শিশু রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে বাধা
অন্যদিকে এদিন দেরি করে ক্যাম্প চালু ও ফর্ম না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। এমনকী ক্যাম্পের আসবাবপত্রে ভাঙচুরও চালানো হয়।এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় শিবির চত্বরে।খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।শুরু হয় শিবিরের কাজকর্ম।
আরও পড়ুন – মালদায় কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস সংঘর্ষ
যদিও কর্মীদের দেরীতে আসার কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম। তবে পর্যাপ্ত ফর্ম শিবিরে রয়েছে বলে জানান তিনি অন্যদিকে ক্যাম্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লক অফিসের কর্মী সাগরাম সোরেন জানিয়েছেন, ক্যাম্পে পর্যাপ্ত ফর্ম আছে। বিভাগের নাম দেওয়া হয়নি বলে সমস্যায় পড়েছিলেন গ্রামবাসিরা। দ্রুত বিভাগের নাম লিখে চিহ্নিতকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।