মানিকচক, ১৮ জুলাই : মানিকচকের ভুতনি এলাকায় নদী ভাঙন রোধের কাজের সূচনা হলো জেলা সেচ দপ্তরের উদ্যোগে। রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজের সূচনা করেন রাজ্যের সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষার মরশুমে ভাঙন আতঙ্ক গ্রাস করে মানিকচকের ভুতনি চরের গঙ্গা নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের। এবছরও বর্ষায় বিক্ষিপ্ত ভাঙন শুরু হয়েছে এলাকায়। আর এতেই আতঙ্ক বেড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। অপরদিকে লাগাতার ভাঙনের জেরে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা গ্রাস করছিল নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। রবিবার মানিকচকের ভুতনির কোশিঘাট এলাকায় নদী ভাঙন রোধের কাজের সূচনা হলো জেলা সেচ দপ্তরের উদ্যোগে। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজের সূচনা করেন রাজ্যের সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি জানিয়েছেন, জরুরীকালীন পরিস্থিতিতে নদী তীরবর্তী প্রায় দেড়শ মিটার এলাকা বালির বস্তা দিয়ে ভাঙনরোধের কাজ সম্পন্ন হবে। যার জন্য প্রায় এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মন্ডল, ভুতনি থানার ওসি কুনাল কান্তি দাস সহ জেলা সেচ দপ্তর আধিকারিকেরা। পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তাদের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। কথা বলেন ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের সাথে। শোনেন তাদের অভাব-অভিযোগের কথাও। যদিও নদী ভাঙন রোধের এই কাজ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এলাকাবাসীরা স্থায়ী সমাধানের দাবি তুলেছেন।
আরও খবর পড়ুন : মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবতীকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দিল পুলিশ