নিউজ ডেস্ক , ২৮ নভেম্বর : আধুনিক সময়ে যুব সমাজে ক্রমশই বাড়ছে মাদকের নেশা। মালদা জেলায় মাদক সরববাহের রমরমা বেড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। মাদকের টাকা যোগানে এলাকাজুড়ে বাড়ছে চুরিচামারির ঘটনা। ফলে মাদকের নেশা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দরকার বলে মনে করছে শিক্ষিত সমাজ।
পুলিশ কিয়ক্স এর সামনে উদ্ধার দেহ,চাঞ্চল্য এলাকায়
বর্তমান যুবসমাজের মধ্যে এক ভয়াবহ ব্যধি হল মাদকাসক্তি। গ্রামগঞ্জ, শহর, স্কুল, কলেজ, সবখানেই পড়েছে মাদকের ভয়াল থাবা। পুরোনো মাদকের পাশাপাশি নিত্য নতুন মাদকের সহজলভ্যতার কারণে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে মালদার চাঁচল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার বহু যুবক-কিশোর। এই মহকুমায় মাদক ব্যবসায়ীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর। হরিশ্চন্দ্রপুরের করিয়ালিতেই সবথেকে বেশি মাদকব্যবসার দৌরাত্ম্য। বিহার হয়ে ড্রাগস আমদানি হচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুরের এই এলাকায়।সেখান থেকেই তা ছড়িয়ে যাচ্ছে চাঁচলের বিভিন্ন জায়গায়।করিয়ালি বাজার,তালগাছি এবং সোনাপুরে চলছে এই ব্যবসা। সেই জায়গা থেকে ব্রাউন সুগার আনছে চাঁচলের সরবরাহকারী বা পেডলাররা।আবার অনেকে আমদানি করছে কালিয়াচক থেকে।ব্রাউন সুগারের নেশা করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় তৈরী হয়েছে ঠেক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠক
যেখানে বসেই এই নেশা করছে আসক্তরা।এমনি একটি ঠেকের সন্ধান পাওয়া গেছে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিত্যাক্ত একটি আবাসনে। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি।আবাসনের ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ব্রাউন সুগারের নেশার মুল উপকরণ ফয়েল পেপার এবং মোম দেশলাইয়ের কাঠি।মাদক আমদানির ক্ষেত্রে সরাসরি পেডলাররা যুক্ত থাকছে না।কোথাও বিক্রি হচ্ছে নির্দিষ্ট বাড়ি বা দোকান থেকে।আবার কোথাও ফোন করলেই নির্দিষ্ট স্থানে এসে নেশা দ্রব্য দিয়ে যাচ্ছে সরবরাহকারীরা।নেশার লোভ দেখিয়ে তারা সাগরেদ বানিয়ে নিচ্ছে মাদকাসক্ত কিছু যুবককে। তাদেরকে ব্যবহার করেই চলছে মাদক দেওয়া নেওয়ার কাজ।কয়েকটি জায়গায় ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা প্রতি গ্রাম বিক্রি হচ্ছে গ্রাম সুগার।নেশার টাকা যোগাতে বাড়ছে চুরি ছিনতাইয়ের মত ঘটনাও।মাঝেমধ্যে পুলিশি সক্রিয়তায় অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে ব্যবসা বন্ধ করলেও এখনো অনেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে মাদকের ব্যবসা করে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠক
এই প্রসঙ্গে মাদকাসক্ত থেকে মুক্ত এক যুবক জানিয়েছে, নানা প্রলোভন দেখিয়ে এলাকার যুবকদের মাদকের নেশা ধরাচ্ছে অসাধু মাদক ব্যবসায়ীরা। একবার এই নেশায় আসক্ত হলে তা থেকে বেরোনো মুশকিল হয়ে পড়ছে। মাদকের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে অনেক পরিবারই।
প -এ প্রবন্ধ, স্বীকৃতিলাভ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের
অন্যদিকে এবিষয়ে কংগ্রেস নেতা আব্দুস শোভান জানিয়েছেন, মাদকের নেশার কবল থেকে যুব সমাজকে মুক্ত করতে পুলিশের সক্রিয়তার প্রয়োজন। তার সঙ্গে নেশা মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে সাধারণ মানুষেরও সহযোগিতার প্রয়োজন। তবে ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে শাসকদলের মদতে এলাকায় নেশার প্রভার বাড়ছে বলে অভিযোগ এনেছেন তিনি।
যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা দাবী করেছেন, প্রশাসনের সক্রিয় পদক্ষেপে মাদক বিক্রী অনেকটাই বন্ধ করা গিয়েছে। এমনকি মাদকের কুপ্রভাব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যেও সচেতনতা প্রসারের কাজ করা হচ্ছে নিয়মিত।