নিউজ ডেস্ক , ২৭ নভেম্বর : ৩৭১ শব্দের প্রবন্ধ, যার প্রতিটি অক্ষর শুরু প দিয়ে। অবাক হলেও এরকমই এক প্রবন্ধ রচনা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মালদার কৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক। তাঁর এই অনন্য প্রতিভার স্বীকৃতি স্বরুপ ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠল সঞ্জয় দাসের।
প্রকাশ্য রাস্তায় মদ্যপান, আটক ৩ যুবক
এমনিতেই নিছকই সেটি একটি প্রবন্ধ। কিন্তু সেই প্রবন্ধের বিশেষত্ব তার প্রতিটি শব্দের শুরু হয়েছে বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণ ‘প’ দিয়ে। আর প দিয়ে প্রবন্ধ লিখেই ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’- এ নাম তুললেন মালদার ইংরেজবাজারের কৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সঞ্জয় দাস। প্রায় চারশো শব্দের প্রবদ্ধের শিরোনাম ‘প্রজা প্রজেশ্বর পরিকথা’। প্রতিটি শব্দের প্রথম বর্ণ ‘প’।গত ১ লা জুন ২০২৩ তারিখে আসামের শিলচর থেকে প্রকাশিত ‘গতি’ পত্রিকায় ‘প্রজা-প্রজেশ্বর পরিকথা’ শীর্ষক এই প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা ব্লকের আমতলা হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাসের কৃতিত্বে হতবাক সকলে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রজা অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রজেশ্বর অর্থাৎ প্রজা পালকদের সম্পর্ক নিয়েই প্রবন্ধটি রচিত হয়। মোট ৩৭১ শব্দের এই প্রবন্ধ রচনা করেছেন তিনি।
যার প্রতিটি শব্দ প দিয়ে শুরু।হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’খণ্ডের অভিধান থেকে পড়াশোনা করে সমার্থক শব্দ চয়ন করে লিখেছেন তিনি।সঞ্জয়ের এই অভিনব সাহিত্য সৃষ্টির জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠেছে।প্রবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে পাঠান। ২৭ অগস্ট থেকে রেকর্ড বইয়ে নামের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২৪ অক্টোবর রেকর্ড বুকে নাম তোলার বিষয়ে কনফার্ম করা হয়। ১৮ নভেম্বর সঞ্জয়ের বাড়িতে শংসাপত্র, মেডেল প্রভৃতি আসে। যা নিয়ে এখন গর্বিত পরিবারের সদস্যরা।শিক্ষকতার পাশাপাশি সাহিত্য নিয়ে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।আগামী দিনে বাংলা বর্ণমালার অন্য বর্ণ ধরে একই ধরণের প্রবন্ধ লেখার জন্য চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে এই প্রবন্ধ লেখার সার্থকতার ক্ষেত্রে ঈশ্বরের কৃপা রয়েছে মনে করছেন তিনি।