নিউজ ডেস্ক , ২৬ নভেম্বর : এক গ্রামীণ পুলিশে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু ২ জনের।জখম ২। শনিবার সন্ধ্যায় দূর্ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচল থানার মতিহারপুর পঞ্চায়েতের শীতলপুর গ্রামে। মৃতরা হল শেখ মহম্মদ ও দানেশা বিবি।দূর্ঘটনার পরেই গ্রামীণ পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবীতে বিক্ষোভে সরব হয় মৃতদের পরিজন ও গ্রামবাসীরা।
মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই,প্রতিবাদে সোচ্চার কুনাল
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি রফিকুল হোসেন। তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। এক গ্রামীন পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত এক মহিলা সহ দুজনের। আহত আরো দুজন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গ্রামের এক বাড়িতে ধাক্কা গাড়িটির। শনিবার ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদার চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের মতিহারপু পঞ্চায়েতের শীতলপুর গ্রামে।জানা গিয়েছে, মৃত দুজনের নাম দানেসা বিবি ও শেখ মহম্মদ। এদিন রফিকুল নামে চাঁচল থানায় কর্মরত ওই গ্রামীণ পুলিশ গ্রামে এক পারিবারিক বিবাদের তদন্তে আসে। সে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে সেখানে আসে। তার সঙ্গে অন্যকোন পুলিশকর্মী আসেনি।
স্যোশাল মিডিয়ায় ব্ল্যাকমেইল, আত্মহত্যার চেষ্টা
এদিন গ্রামে খোঁজখবর চালানোর পর দ্রুতগতিতে গাড়ি নিয়ে বের হতে গেলে রাস্তার পাশে থাকা এক বাড়িতে ধাক্কা মারে। সেসময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা শেখ মহম্মদকে ধাক্কা মারে। এরপরই নামাজ পরে ফেরার পথে দানেশা বিবি সহ আরো দুই কিশোর-কিশোরীকে ধাক্কা মারে ওই গ্রামীণ পুলিশের গাড়ি। দূর্ঘটনার পরেই মৃত্যু হয় শেখ মহম্মদের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সামসীতে মৃত্যু হয় দানেশা বিবির।গাড়ির ধাক্কায় জখম লিজা পারভীন ও মিজাউল নামে দুই কিশোর-কিশোরী চাঁচল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শহরের জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা
এরপরই ওই গ্রামীন পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হয় মৃতদের আত্মীয় পরিজন ও গ্রামবাসীরা। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চাঁচল থানার পুলিশ। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও মৃতদেহ দুটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ময়নাতদন্ত না করেই পাঠানো হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রামবাসীরা।অপরদিকে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মালদা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি রফিকুল হোসেন। সেসময় তিনি তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের উপস্থিতিতে সালিশী করার চেষ্টা করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ করে গ্রামবাসীরা।তবে সালিশীর অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি রফিকুল হোসেন জানিয়েছেন, সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিনি এসেছেন। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে সবরকম সাহায্যে আশ্বাস দিয়েছেন রফিকুল সাহেব।
শহরের জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা
দূর্ঘটনার পর রবিবার শোকের আবহ শীতলপুর গ্রামজুড়ে৷ শনিবার রাতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হচ্ছে মালদা মেডিক্যাল কলেজে। যদিও রফিকুল নামে ওই গ্রামীণ পুলিশ যে গাড়িটি নিয়ে এসেছিলো তার রেজিষ্ট্রেশন রয়েছে কোলকাতার দক্ষিণ দমদমের এক ব্যক্তির নামে। ফলে কিভাবে এই গাড়ি তার কাছে এলো তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে দূর্ঘটনায় স্বজনকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ পরিবারটি। এঘটনায় অভিযুক্ত রফিকুলের শাস্তির দাবীতে সরব হয়েছে পরিবারের সদস্যরা।