নিউজ ডেস্ক , ০৩ এপ্রিল : ভোটে বেআইনি অর্থ ব্যবহারের অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল কমিশন। বেআইনি ও বেহিসাবি অর্থ নির্বাচনের কাজে কোনও ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না বলে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কমিশন নিযুক্ত আয় ব্যয় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক বি মুরুলিকুমার শনিবার রাজ্যের সব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও নোডাল আধিকারিকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করে এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিন তিনি বলেন, বেআইনি অর্থের যোগান ও লেনদেন যে কোনও মূল্যে রুখতে হবে। আর তা রোখার জন্য আরও জোরদার করতে হবে নাকা চেকিং। ফ্লাইং স্কোয়াডের সংখ্যা বাড়াতে হবে। গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকে এই বিধানসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই অনেক বেশি পরিমাণে বেআইনি অর্থ বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলেও ভিডিয়ো কনফারেন্সে জানান মুরলীকুমার।
গোবলয় আর দক্ষিণ ভারতে ভোটের সময়ে ভোট কিনতে কার্যত টাকার বন্যা বইয়ে দেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। ভোটারদের প্রভাবিত করতে অর্থাৎ ভোট কিনতে এবার যে রাজ্যে অভূতপূর্ব কালো টাকার ব্যবহার চলছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। সবে মাত্র দুই দফার ভোট মিটেছে। আর সেই দুই দফার ভোটে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩৯ কোটি টাকার বেশি।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ২০ কোটি ১২ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। আর এখন পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অর্থাৎ পাঁচ বছর আগের তুলনায় ইতিমধ্যেই দ্বিগুন কালো টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সবে দু’ দফার ভোট মিটেছে। বাকি রয়েছে এখনও ৬ দফা ভোট। এদিকে এখনই বাজেয়াপ্ত বেআইনি অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ কোটি ছুঁই ছুঁই। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন কমিশন। বাংলার ভোটে বেআইনি অর্থ ব্যবহারে রাশ টানতে কড়া কমিশন।