আরসিটিভি সংবাদ :প্রবল গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। দহনে পুড়ছে সারা বাংলা। সকাল ৮ টা থেকেই তীব্র রোদের তেজ। ১০ টা পার হতেই যেন আগুনের গোলা পরছে চতুর্দিকে। বিদায় নিয়েছে চৈত্র। বৈশাখের শুরুতে এমন অবস্থা ঘিরে বেশ উদ্বিগ্ন সাধারন মানুষ। আগামী কিছুদিন এই পরিস্থিতি থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন – তাপপ্রবাহের জেরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক সপ্তাহের ছুটি ঘোষনা
অসহ্য গরমে অসুস্থ হয়ে পরছেন সাধারন মানুষ। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি একই ছবি রায়গঞ্জ শহরেও। এদিকে এই প্রবল তাপপ্রবাহের প্রভাব পরছে বেসরকারি পরিবহনে। তপ্ত দুপুরে রাস্তাঘাটে জনমানুষের সংখ্যা কম থাকায়। গাড়িঘোড়াও প্রায় ফাঁকা। এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত পরেছে বেসরকারি পরিবহন মালিকদের। বেসরকারি পরিবহন সংগঠন সূত্রের খবর, বেলা বাড়তেই বড় বড় বাসগুলিতে যাত্রী সংখ্যা নেই বললেই চলে। এতে ক্ষতির মুখে পরতে হচ্ছে বাস মালিকদের। বাসমালিক কুশল বোস জানান, এমনিতেই ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে সমস্যার জাঁতাকলে পরেছেন তারা। গাড়ি চালাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। আয়ের তুলনায় ব্যায় বেশী হয়ে পরছে। ফলে বেশীরভাগ গাড়ি বন্ধ হয়ে পরছে। তারমধ্যে বর্তমানে প্রতিকূল আবহাওয়া দাপট যেন গোঁদের উপরে বিষ ফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনটা চলতে থাকলে গাড়ি একেবারে বন্ধ রাখতে বলে দাবী তার।
সমস্যায় পরিবহন কর্মীরাও। দিলীপ চন্দ্র সরকার নামের বেসরকারি বাসের এক কন্ডাকটার বলেন, গত বেশকিছুদিন থেকে গরমের দাপটে পরিবহন ব্যবসা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। রাস্তা ঘাটে লোক নেই। ফাঁকা গাড়ি নিয়ে রুট ধরতে হচ্ছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে তারাও ঠিকমত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। এতে সংসার চালাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের।
আরও পড়ুন – কংগ্রেসে যোগ প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্যর একঝাঁক অনুগামীর
সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন উত্তর দিনাজপুর বাস মিনি বাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্লাবন প্রামানিক। তিনি জানান, ক্রমশই বাড়ছে ডিজেলের মূল্য। সেই অনুপাতে বাড়ছে না ভাড়া। তারউপরে নিয়মমাফিক এপ্রিল মাস থেকে বেরেছো টোলট্যাক্স।এতকিছুর পর এবারে ভিলেন রুপে খাঁড়া বসিয়েছে অসহ্য গরম। রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য ফলে বেশীরভাগ গাড়ি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে মালিকপক্ষকে। এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে সন্দীহান প্লাবন বাবু।