নিউজ ডেস্ক, ৯ আগস্ট : ত্রিপুরায় দলের নেতা নেত্রীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গর্জে উঠল তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে গাঁন্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় তৃণমূল সাংসদরা। ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের হত্যা রয়েছে বলে সোমবার সেই ধর্না থেকে অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিল্লিতে এই ইস্যুতে যে সাংসদরা সরব হবেন সেকথা রবিবারই জানানো হয়েছিল। সেই মতো সোমবার সকালে সংসদ শুরুর আগেই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জমায়েত হন তৃণমূল সাংসদরা। বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, শতাব্দী রায়, ডেরেক ও’ব্রায়ান সহ অন্যান্য তৃণমূল সাংসদরা।এদিন সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। ত্রিপুরায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া ছাত্র-যুবদের ওপরে হামলার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, ত্রিপুরায় যা হচ্ছে, তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে।উল্লেখ্য, শনিবার ত্রিপুরায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তরা৷ কিন্তু মহামারি আইন অমান্য করায় তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ৷ নিয়ে যাওয়া হয় থানায়৷ যদিও দেবাংশুদের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তাঁদের উপর হামলা করে৷ খবর পেয়েই রবিবার সকালে কলকাতা থেকে ত্রিপুরা যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রবিবারই দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা সহ তৃণমূল নেতাদের ছাড়াতে খোয়াই থানায় ধর্নায় বসেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, দোলা সেন, ব্রাত্য বসুরা। পরে ত্রিপুরা আদালতে জামিন পান তাঁরা। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয় তাদের। আহত জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা, দেবাংশু ভট্টাচার্যদের নিয়ে বিশেষ বিমানে শহরে ফেরেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
আরও খবর পড়ুন : জাল আধার কার্ড তৈরির চক্রের তিন পাণ্ডা গ্রেফতার