আরসিটিভি সংবাদ : খাদিগ্রাম উন্নয়ন ও কুটির শিল্প দপ্তরের উদ্যোগে কোচবিহারের মহিষকুচি ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার গেদারচড়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় তাঁত মেখলা হাবের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই বিধানসভা ভোটের আগে তা উদ্বোধনও করে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই প্রকল্পের দরজা আজও তালা বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
আরও পড়ুন – মালদায় বিশালাকৃতির মাছ !
হাবের সদস্য করার জন্য শালডাঙ্গায় অফিস খুলে তাঁতিদের আধার কার্ড ও অন্যান্য কাগজপত্র নেওয়া হয়েছিল। মহিষকুচি ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় দুই হাজার তাঁত শ্রমিক রয়েছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁতের শাড়ি তৈরি করে বাংলায় দাম পাওয়া যায় না। প্রকল্প অনুযায়ী তাঁতিদের উৎপাদিত সামগ্রী হাবে নিয়ে গিয়ে বিক্রি হলে ভালো দাম পাবেন তাঁতিরা। কিন্তু কোথায় সেসব! সুদেব দাস নামে এক তাঁতি জানিয়েছেন, তাদেরকে তাঁতযন্ত্র দেওয়া হবে, লোন দেওয়া হবে৷ হাবে তাঁদের তৈরি সামগ্রী বিক্রি হবে। কিন্তু হাবই নির্মান হয়নি।
আরও পড়ুন – রায়গঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু !
অনিতা দাস নামে অপর এক মহিলা তাঁত শিল্পী জানিয়েছেন, আমাদের তৈরি সামগ্রী হাবে বিক্রি হবে এইকথা বলে আমাদের কাছ থেকে আধার কার্ড, অ্যাকাউন্ট নম্বর সবকিছুই নিয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনওকিছুই হয়নি। এখানে তাঁতের হাব হলে আমরা ভীষণ উপকৃত হতাম।
আরও পড়ুন – খেলার মাঠে বসছে মদ জুয়ার আসর !
যে এনজিওর উদ্যোগে ও জমিতে হাবটি তৈরি করা হয়েছে তার সম্পাদক দীপঙ্কর দাসও ধোঁয়াশায় রয়েছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে কথা হয়েছিল একটি দপ্তর খোলা হবে। যাতে থাকবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ওয়ার্কশপ। ১০০ জন তাঁতি একসাথে বসে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও আরো অনেক কিছু করার কথা হয়েছিল। এজন্য প্রচুর টাকার টেন্ডার ডাকা হলেও অর্থ বরাদ্দ হয়নি। তারপরে পরিকাঠামো ছাড়াই সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়েছিল। নিজেদের উদ্যোগে ১০০ জন তাঁত শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের জন্য যন্ত্রপাতি কিনে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু দপ্তর থেকে জানানো হয়, টাকা না থাকায় প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখতে হবে।
আরও পড়ুন –বিকট শব্দে কেপে উঠলো এলাকা!কেন?
এদিকে সামনে পঞ্চায়েত ভোট, হাবটি চালু না হওয়ায় অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এব্যাপারে স্থানীয় তৃণমূলের চেয়ারম্যান ধনো বর্মন জানিয়েছেন, হাবটি সরকারি উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল। কেন চালু হচ্ছে না বুঝতে পারছিনা। হাব না হওয়ায় বিজেপি এটাকে ভোটের ইস্যু করবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন – আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি !
বিজেপির ৩২ নম্বর মন্ডল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের খাদি ও গ্রাম উদ্যোগ সংস্থার প্রকল্পের টাকায় হাবটি রাজ্য সরকার তৈরি করেছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার ভোটের আগে মানুষকে বোকা বানাতে একটি ঘর তৈরি করেছে মাত্র। আর কোনও কাজই করেনি রাজ্য সরকার