নিউজ ডেস্ক, ৫ইজানুয়ারি : স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিয়ে কয়েক মাইল হেঁটে দাহ করতে নিয়ে চলেছেন স্বামী। করোনা কালে এই দৃশ্যের সাক্ষী আগেও থেকেছেন দেশের মানুষ। এবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল উত্তরবঙ্গে। অমানবিক এই দৃশ্যের সাক্ষী রইলো জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা।জলপাইগুড়ি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন লক্ষীরানী দেওয়ান। স্ত্রীর মৃতদেহ কিভাবে নিয়ে যাবেন বাড়িতে আর শ্মশানে! জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স বা শববাহী গাড়ির পরিষেবা না পেয়ে অগত্যা স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে করে তুলে নিয়ে সুদূর ক্রান্তি এলাকায় রওনা দিলেন স্বামী ও পুত্র। আর এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে। ঘটনার খবর পেয়েই রাস্তায় ছুটে আসলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তারা। সংস্থার শববাহী গাড়িতে মরদেহ তুলে শেষ পর্যন্ত রওনা দিলেন বাড়ি।মৃতার ছেলে রাম প্রসাদ দেওয়ান অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করতে গিয়েছিলাম। ৩ হাজার টাকা ভাড়া চেয়েছিল চালক। কিন্তু আমাদের কাছে অত টাকা ছিলনা। টাকা না দিতে পারায় বাধ্য হয়ে আমরা দুজনেই মৃতদেহ কাঁধে করেই রওনা হই।জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্নধার অঙ্কুর দাস বলেন, বুধবারই শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মৃতা লক্ষ্মীরানী. মাত্র ৯০০ টাকা ভাড়ায় অ্যাম্বুলেন্সে ক্রান্তি নগরডাঙ্গা থেকে হাসপাতালে এনেছিলেন পরিবার। কিন্তু এদিন ৩০০০ টাকা চাওয়াতে বিপাকে পড়ে দেহ কাধে তুলেই রওনা হন তাঁরা। খবর পেয়েই আমরা ছুটে যাই। রাস্তা থেকেই ওই মৃতদেহ আমরা আমাদের গাড়িতে তুলে নেই।এদিকে শববাহী গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা না মেলায় মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের এম এস ভি পি কল্যান খাঁ বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। হাসপাতালে রোগী সহায়তা কেন্দ্রে জানালে এমন ঘটনা হতোনা। তবে আমি হাসপাতালের সিকিউরিটি থেকে সর্বস্তরের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি এমন ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত তা সমাধান করার।