নিউজ ডেস্ক ,২১-১২-২০২২ : খোদ সরকারি দপ্তরের সামনে সরকারি আধিকারিকদের নাকের দ্গায় অবলীলায় চলছে প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের আবেদনপত্র বিক্রি। পাঁচ টাকার বিনিময়ে জেরক্সের দোকান থেকে দেদার বিকোচ্ছে প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের আবেদনের ফর্ম।
শুধু তাই নয় ফর্ম ফিলাপ করে দেবার জন্যেও নেওয়া হচ্ছে পৃথক টাকা। জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিসের সামনে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনিক মহলেও। যা নিয়ে সদর বিডিওর কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।বেশ কয়েকদিন থেকে জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিসের সামনে বিশেষ করে জেরক্সের দোকানগুলি থেকে প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের জন্য আবেদনপত্র বিক্রি করা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে সরকারি ওয়েবসাইড থেকে ওই ফর্ম ডাউন লোড করার পরে তা জেরক্স করে বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় ফর্ম যারা ফিলাপ করতে পারছেন না তারা আবার অর্থের বিনিময়ে সেই ফর্ম পূরণ করাচ্ছেন অর্থের বিনিময়ে। এরজন্য বিডিও অফিসের ভেতরে বসেও রয়েছেন কয়েকজন। জানা গিয়েছে, আবাস যোজনার যে তালিকা নিয়ে হৈচৈ পড়েছে, সেই তালিকা বাস্তবে ২০১৮ সালের। ওই তালিকায় ত্রুটি থাকার কারণে তা ত্রুটি মুক্ত করতেই উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। ফলে আবাস যোজনার ওই তালিকা থেকে বেশ কিছু নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও খবর। কিন্তু প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেওয়া নিয়ে নতুন করে সরকারি কোনও ঘোষনাও হয়নি। অথচ তারপরেও হঠাৎ করে কিভাবে আবাস যোজনার ঘরের ফর্ম বিক্রি হচ্ছে তানিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের আবেদনপত্র বিক্রি নিয়ে দালালচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠায় অস্ববস্তিতে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বিডিও অফিস সংলগ্ন একটি জেরক্সের দোকানের মালিক অশোক বর্মন বলেন, আমরা ইন্টার নেট থেকে এই ফর্ম ডাউন লোড করেছি। সেটাই জেরক্স করে বিক্রি করা হচ্ছে।কিন্তু সরকারি ফর্ম এই ভাবে বিক্রি করা যায় কিনা সেই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন নি অশোকবাবু।এদিকে বিডিও অফিসে আসা সঞ্জিব ভৌমিক বলেন, এখানে টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিক্রি করা হচ্ছে, আবার ফর্ম ফিলাপের জন্য বাড়তি টাকাও নেওয়া হচ্ছে। কেউ বা কাহারা এই চক্র খুলে বসেছে। সরকারি দপ্তরের সামনে কিভাবে সক্রিয় হলো তার তদন্ত করা হোক।এদিকে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন ছড়িয়েছে । জলপাইগুড়ি সদর বিডিওর কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু ।