নিউজ ডেস্ক : সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। বিশেষ করে আমাদের দেশে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর বেশিরভাগ মানুষ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা পরিষেবা নিচ্ছেন। আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছি,করোনার প্রাথমিক উপসর্গ মুলত শ্বাসকষ্ট। অর্থাৎ ফুসফুসের সংক্রান্ত সমস্যা । সেই কারনে সুস্থ ভাবে থাকতে সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি ফুসফুসের ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরি। করার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।কিন্তু কিভাবে করবেন সেই ব্যায়াম? সেই নিয়েই বিস্তারিত পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা।
১. গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস
বুক ভর্তি শ্বাস নিয়ে যতটা সম্ভব তা, ধরে রেখে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে হবে। এর ফলে ফুসফুসের সংকোচন প্রসারন ঠিক মত হবে।এভাবে দিনে অন্তত দুইবার ব্যায়াম করা যেতে পারে। এতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
২. ইনসেন্টিভ স্প্যারোমেট্রি এক্সারসাইজ
এখানে ছোট একটি যন্ত্রের মধ্যে তিনটা বল থাকে। শ্বাস দিয়ে রোগীদের সেই বলগুলো যন্ত্রের ভেতরে তুলতে হয়। প্রথমদিন একটা, পরের দিন দুটো, এভাবে আস্তে আস্তে বল তোলার ক্ষমতা বাড়াতে হয়। এভাবে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে।
৩. উপুড় হয়ে ঘুমানো
মানুষের শরীরে অনেক সময় অক্সিজেনের স্বল্পতা তৈরি হয়। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার কারনেএটা হয়। এজন্য উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলে বা পাশ ফিরে শুয়ে থাকলে শরীরের অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ে।তবে এভাবে শুয়ে থাকার সময় মাথার নীচে কোনো বালিশ ব্যবহার না করাই ভালো।
৪. শ্বাস নেয়ার সময় হাত তোলা
শ্বাস নেওয়ার সময় হাত উপরে তুলতে হবে। আবার শ্বাস ছাড়ার সময় হাত নীচে নামিয়ে আনতে হবে। এরফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরের অঙ্গের ব্যায়ামও হবে।
আবার লম্বা শ্বাস নেয়ার সময় বুকের পাঁজরের নীচে হাত রেখে অনুভব করতে হবে যে, বুকটা বেলুনের মতো ফুলে উঠছে। এরপর চাপ দিয়ে বাতাস বের করে দিতে হবে। এভাবে দিনে অন্তত কয়েকবার করতে হবে।
৫. নাক বন্ধ করে শ্বাস নেয়া
হাত দিয়ে প্রথমে নাকের বাম পাশ বন্ধ করে ডান পাশ দিয়ে লম্বা শ্বাস নিতে হবে। ৫/১০ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রেখে আবার শ্বাস ছেড়ে দিতে হবে। এরপর নাকের ডান পাশ চেপে ধরে একইভাবে শ্বাস নিতে হবে। এভাবে প্রতিদিন কয়েকবার করতে হবে।
৬. বাষ্প নেওয়া
গরম জলের বাস্প নিলেও সেটা ফুসফুসের জন্য ভালো।
এতে ফুসফুস আরও শক্তিশালী হবে।
তবে যেসব ক্ষেত্রে এইসব ব্যায়াম করা যাবে না,সেগুলি হল,
কারও যদি শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা বা কাশি থাকে,তাহলে এধরনের ব্যায়াম না করাই ভালো।অন্যদিকে,যাদের হৃদরোগ বা ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগ রয়েছে, তারা ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
ব্যায়াম করার সময় অসুস্থ বোধ বা শ্বাসকষ্ট হলেই সাথে সাথে ব্যায়াম বন্ধ করে বিশ্রাম নিতে হবে। কষ্ট বেশি হলে যোগাযোগ করতে হবে চিকিৎসকের সাথে।#####