রায়গঞ্জ, ২৮ অক্টোবর : করোনা অতিমারির কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে দরজা দর্শক সাধারণের জন্য ফের খুলে দেওয়ায় হয় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে। এশিয়ার বৃহত্তম এই পক্ষীনিবাসই হল উত্তরদিনাজপুর জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।
করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি লাগু হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় দু’বছর দর্শকরা কুলিকের ভেতর প্রবেশ করতে পারেনি। অন্যদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কচিকাঁচারাও বাড়িতে বসে থেকে হতাশ হয়ে পড়েছিল। সেকারণে কুলিক পক্ষী নিবাসের এই “পুনরুজ্জীবন” স্বাভাবিকভাবেই আনন্দ জাগিয়েছে ছোট বড় সবার মনেই। জানা গিয়েছে, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকে ফের সরকারি নিয়ম মেনে কোভিড বিধিকে মান্যতা দিয়েই ফের কুলিকের প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে দর্শকদের জন্য। ধীরে ধীরে পরিযায়ী পাখির কলতান দেখতে দর্শকদের আনাগোনা বাড়ছিল। তবে অক্টোবর মাসের মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুধু এই জেলার নয়, বাইরের জেলা, এমনকি ভিন রাজ্যের দর্শকরাও খবর পেয়ে পক্ষীনিবাসে আসতে শুরু করেছে। তবে মূলত পরিযায়ী পাখিদের টানে দর্শককূল ভিড় জমালেও সরকারি উদ্যোগে রঙিন মাছের একুরিয়াম, নীলগাই, কচ্ছপের পুকুর, প্রজাপতিদের জন্য আকর্ষণীয় খাঁচা অন্যতম আকর্ষণ কুলিক পক্ষীনিবাসে। যা দেখে দর্শকরা রীতিমতো উত্তেজিত ও আনন্দিত দর্শককুল।রায়গঞ্জের ডেপুটি রেঞ্জার বরুন সাহা বলেন সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু দর্শকরা নয়, বনদপ্তরের কর্মীরাও কুলিক পক্ষীনিবাসে তাদের কর্তব্য পালন করছেন। শীতের মরশুম আসার আগে এখনও পরিযায়ী পাখিদের ভিড় ও এখানকার মনোরম পরিবেশ দর্শকদের কাছে আরও মনোগ্রাহী করে তুলেছে।