নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ০৭ নভেম্বর : উত্তর দিনাজপুর জেলার অন্যতম প্রাচীন একটি কালীপূজা হলো রায়গঞ্জের বন্দরের আদি কালীবাড়ির পুজো। করোনা আবহের মধ্যেই সবধরনের বিধিনিষেধ মেনেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মন্দির কমিটি।
এই পুজো ঠিক কতবছর আগে শুরু হয়েছিলো তা জানা নেই কারোর। তবে শোনা যায় প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর আগে এই পুজোর প্রচলন হয়। পাঞ্জাব প্রদেশের এক সাধু পায়ে হেঁটে কুলীক নদীর তীরে বন্দর এলাকায় একটি গাছের নীচে পঞ্চমুন্ডির আসন বানিয়ে সিদ্ধিলাভ করেন। সেই থেকেই পুজোর প্রচলন শুরু হয় এখানে। পরবর্তীতে ১২১৬ সালে তৎকালীন দিনাজপুরের রাজা মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই স্থানে মন্দির নির্মান করেন। সাধক জানকী নাথ চট্টোপাধ্যায় বেনারস থেকে মায়ের কষ্টিপাথরের মূর্তি এনে মন্দিরে স্থাপন করেন। বহু আগে কুলীক নদী দিয়ে ব্যাবসা, বানিজ্য করতে যাওয়ার সময় বনিকেরা এই মন্দিরে পুজো দিয়ে যেতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কালীপুজোর রাতে মায়ের পায়ের নুপুর ধ্বনি শোনা যায় এলাকায়। মনস্কামনা পূরণের জন্য বাংলাদেশ,ওড়িশা,বিহার, কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় মন্দির প্রাঙ্গনে। তন্ত্রমতে দেবীর পুজো হয় মন্দিরে। পুজোর দিন শোল মাছ দিয়ে মাকে বিশেষ ভোগ দেওয়া হয়। রয়েছে পাঁঠাবলির প্রথাও। মন্দিরের পুরোহিত মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন,” এখানকার মাকালী অত্যন্ত জাগ্রত। ভীনরাজ্য থেকে পুজোর দিন বহু মানুষ আসেন মন্দিরে। তবে করোনা সংক্রমণের কারনে এবারে মন্দিরে জমায়েত করতে দেওয়া হবে না। মন্দিরে মাস্ক ও স্যানিটাইজিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সবমিলিয়ে পুজোর কয়েকদিন আগে এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত মন্দির কমিটির সদস্যরা।