নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ০৭ নভেম্বর : জমির অনুখাদ্য তৈরীর আড়ালে জাল কীটনাশক তৈরীর কারখানার হদিস পেল উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষি দপ্তর। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রায়গঞ্জের কসবা এলাকার ঐ কারখানায় হানা দেয় কৃষিদপ্তরের আধিকারিকেরা। এই ঘটনায় কারখানাটি সীল করে দেওয়ার পাশাপাশি রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভাবের কারনেই জাল কীটনাশকের ব্যাবসা চালাচ্ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন কারখানার মালিক ভবেশ রায়।
উল্লেখ্য রায়গঞ্জ থানার কসবা এলাকার বাসিন্দা ভবেশ রায় এলাকায় জমির অনুখাদ্য তৈরীর কারখানা তৈরী করেছিলেন। সম্প্রতি সেই কারখানায় অনুখাদ্যের বদলে জাল কীটনাশক ওষুধ তৈরী করে বাজারে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা কসবা এলাকায় ভবেশবাবুর কারখানায় হানা দেয় শনিবার। কারখানার মালিক কৃষিদপ্তরের আধিকারিকদের কারখানায় ঢুকতে প্রথমে বাধা দেন বলে অভিযোগ। কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা কারখানায় ঢুকে দেখেন বালির সঙ্গে রঙ মিশিয়ে জাল কীটনাশক ওষুধ তৈরী করা হচ্ছে। বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানীর প্যাকেট এনে সেই কীটনাশকের বিক্রিও চলছিলো রমরমিয়ে। ভবেশবাবু যে অনুখাদ্য তৈরী করছেন সেগুলো জমির ক্ষেত্রে কতখানি বাস্তব সন্মত তা জানার জন্য নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে বলে কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর বিপ্লব কুমার ঘোষ। বিপ্লব বাবু জানিয়েছেন,কারখানা সীল করার পাশাপাশি রায়গঞ্জ থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হবে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ভবেশবাবু জানিয়েছেন,করোনা আবহে উৎপাদিত জিনিস বেচাকেনা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়েছিলাম। বাধ্য হয়েই অনুখাদ্যের বদলে এইধরনের কীটনাশক তৈরীর কাজ শুরু করেছিলাম মাসখানেক ধরে।