আরসিটিভি সংবাদ : দাম কেজি প্রতি লক্ষাধিক টাকারও বেশি। স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয় মহার্ঘ্য ফলের রাজা এই আম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তবে এবারে এই আমের স্বাদ পেতে পারেন বঙ্গবাসীও। আর সেই দিকটি মাথায় রেখেই এবারে মিয়াজুকি নামের এই আম ফলানোর উদ্যোগ নিয়েছে মালদা জেলা কৃষি দফতর। আমের জন্য জগতজোড়া খ্যাতি মালদার ।
আরও পড়ুন-কোচবিহার আদালতের মালখানায় উদ্ধার গ্রেনেড!
স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় নানা প্রজাতির আমের চাষ হয় সেই জেলায়। চাহিদার কারণে মালদা থেকে আম রপ্তানি করা হয় বিদেশেও। তবে এই মহার্ঘ্য প্রজাতির আম চাষ এই প্রথম।তবে মিয়াজ়াকির রং কাঁচা অবস্থায় অন্যান্য সাধারণ আমের মত সবুজ হয় না। কাঁচা অবস্থায় এই আমের রং হয় বেগুনি। পাকলে লাল রঙের হয়। ভারতীয় টাকায় প্রায় দু’লক্ষ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় এই আম। একটি আমের সর্বোচ্চ ওজন ৩৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। বর্তমানে শুধু মাত্র জাপান নয়, এই আম এশিয়ার একাধিক দেশে চাষ হচ্ছে। তাইল্যান্ড, পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে মিয়াজ়াকির চাষ। এমনকি ভারতে প্রথম মধ্যপ্রদেশের এক কৃষক এই আমের চাষ শুরু করেন।
আরও পড়ুন-দুঃসাহসিক ছিনতাইয়ের ঘটনা রায়গঞ্জ শহরে !
একটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় জাপান থেকে মিয়াজ়াকি আম গাছের চারা নিয়ে আসা হচ্ছে। মোট ৫০ টি গাছের চারা আসছে।এই গাছ গুলি থেকে কলম পদ্ধতিতে আগামীতে চারা তৈরি করা হবে। তবে এই আমের উৎপাদন বেশ পরিশ্রমের এবং সময় সাপেক্ষ। ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে এই আমের চাষ বলে জানা গিয়েছে কৃষি দফতরসুত্রে।
আরও পড়ুন-অসুস্থ শিশুর চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন বিধায়ক !
স্থানীয় বাজারে লক্ষ টাকা দরে বিক্রি না হলেও কয়েক হাজার টাকায় বিক্রি হতে পারে মিয়াজাকি। ফলে এই আমের চাষ সফল হলে জেলার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলেও বলে মনে করা হচ্ছে।
বাইট- ইংরেজবাজার ব্লক কৃষি দফতরের আধিকারিক ডক্টর সেফাউর রহমান।