আরসিটিভি সংবাদ :কোচবিহার জেলা আদালতের মালখানায় উদ্ধার শক্তিশালী গ্রেনেড। বিশেষ সূত্রের খবর, গাঁজার প্যাকেটের নীচে ছিল এই হ্যান্ড গ্রেনেডটি। ঘটনার কথা চাউর হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে কোচবিহারে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু-তিনদিন আগে কোচবিহার জেলা আদালতের মালখানা পরিষ্কার করতে গিয়ে হ্যান্ড গ্রেনেডটি উদ্ধার হয়েছিল।
আরও পড়ুন-বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নিখোঁজ প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়
এই খবর পেয়েই প্রথমে সিআইডি বোম স্কোয়াকে খবর দেওয়া হয়। সিআইডির বোম স্কোয়াড এই হ্যান্ড গ্রেনেড পর্যবেক্ষন করে জানান এটি তাদের আয়ত্তের নয়। এই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন গ্রেনেড তৈরি হয় কেন্দ্রীয় অস্ত্র কারখানায়। সেনাদের জন্য। পরবর্তীতে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে খবর দেওয়া হয়। রবিবার ছাউনি থেকে সেনাবাহিনীর বম্ব ডিস্পোজাল স্কোয়াড এসে পৌছয় কোচবিহারের সাগরদিঘী এলাকায় অবস্থিত আদালত চত্বরে। জায়গাটি পুরো ঘিরে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন-আর্থিক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ডাক্তার হলেন কৃষক পরিবারের সন্তান
শেষমেশ সেনাবাহিনীর বম্ব ডিস্পোজাল স্কোয়াড গ্রেনেডটি নিস্ক্রিয় করে। মূলতঃ যেটা জানা যাচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে বাজেয়াপ্ত করা গাঁজার প্যাকেটের নীচে ছিল গ্রেনেডটি। এবিষয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, তথ্য অনুসারে এটি কেন্দ্রীয় সরকারের অস্ত্র কারখানায় তৈরী হয়। সুতরাং সেখান থেকে এটি কি করে বাইরে বেরোলো। তবে কি নজরদারিতে গাফিলতি রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চেয়ারম্যান। যেকোনো মুহূর্তে বড়সড় দূর্ঘটনা ঘটতে পরত বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-১৭ বছরের মৃত নাবালকের ময়নাতদন্তে বয়স ৩৪, হাসপাতালের এমন রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে
তবে কতদিন আগে এবং কোথা থেকে এই হ্যান্ড গ্রেনেডটি আদালতের মালখানায় এল তা নিয়ে কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার পুলিশ উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে। এবিষয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তের পাশাপাশি আদালত ও বিভিন্ন থানার মালখানাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।