নিউজ ডেস্ক, রায়গঞ্জ : টাকার জন্য মৃতদেহ আটকে রাখার অভিযোগ উঠলো রায়গঞ্জের একটি বেসরকারী নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে, এঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শহরের উকিল পাড়া এলাকায়। অভিযোগ সকাল দশটার সময় ওই যুবতীর মৃত্যু হলেও সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মৃতদেহ দেওয়া হয়নি পরিবারের হাতে।
রায়গঞ্জ থানায় ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত যুবতীর জামাইবাবু আজিজ আনসারী। রায়গঞ্জ থানার তরফ থেকে অভিযোগের রিসিভ কপি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এদিন থানা ক্যাম্পাসে মৃতার জামাইবাবু বলেন,”প্রবল জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সোমবার রাতে আমার শালিকে ভর্তি করেছিলাম। ভর্তি করার সময় বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বলেছিল ১৫ হাজার টাকা লাগবে। সকাল দশটার সময় গিয়ে দেখি আমার শালি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বেসরকারি নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ জানায় , ৪২ হাজার টাকা না দিলে দেহ দেওয়া হবে না। আমি গরিব মানুষ এত টাকা কোথায় পাব? থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই যুবতী নাম সুমন খাতুন (২৬)। বাড়ি শিলিগুড়ির এনজিপি স্টেশন সংলগ্ন ফুলবাড়ী দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের জোড়পাকুরি এলাকায়। সম্প্রতি রায়গঞ্জ থানার ভাটোলে জামাইবাবুর বাড়িতে ঘুরতে এসে অসুস্থ হয়ে রায়গঞ্জের বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়। এদিকে মৃতদেহ আটকানোর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উকিল পাড়ার বেসরকারি নার্সিংহোম চত্বরে। ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। যদিও নার্সিংহোমের কর্ণধার চিকিৎসক শান্তনু দাস বলেন,”রোগীর পরিবার-পরিজনেরা যে অভিযোগ এনেছে তা ঠিক নয়। টাকার জন্য মৃতদেহ আটকানো হয়নি। ওই রোগীর কিডনি বিকল ছিল সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে।