নিউজ ডেস্ক , ২৫ নভেম্বর : সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ উঠলো খোদ স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় নিজের হাতের শিরা কেঁটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই গৃহবধূ।
শহরের জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা
প্রায় সাত মাস আগে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারন ওই গৃহবধুর এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কর্নজোড়ায় অবস্থিত জেলা পুলিশের দপ্তরের সামনে। উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা লাগোয়া বিহারের বাসিন্দা পর্মিলা দেবী যাদবের মেয়ে পুজা যাদবের সাথে করনদিঘী থানার সাধনপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় ঘোষের সাথে বছর খানেক আগে বিয়ে হয়।
কুলিক ফরেস্ট এখন মাদকাসক্ত দের স্বর্গরাজ্য, বাড়ছে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা
বিয়ের কিছুদিন যাওয়ার পর স্ত্রীর সাথে ঝামেলা চলছিল। স্বামী মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে অন্য কারও সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন শুরু করে বলে অভিযোগ। স্ত্রী প্রতিবাদ করা বন্ধ না করায় তার আপত্তিকর ছবি তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয় সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে এই ঘটনার অভিযোগ নিয়ে প্রথমে করনদীঘি থানায় এবং পরে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানার দারস্থ হয় মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী। কিন্তু দীর্ঘ সাত মাস কেটে গেলেও থানা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওই গৃহবধুর। এদিকে অভিযুক্ত স্বামী ও তার আইনজীবীর সাথে বসে বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তাকে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় ডাকা হয় বলে দাবী করেন গৃহবধুর ও তার মা। কিন্তু পরে এদিনও থানার পুলিশ কর্মীরা তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাকে ঘুরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
বেহাল অবস্থা রাস্তার ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা
এক প্রকার নিরুপায় হয়েই ওই গৃহবধূ নিজের হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে দাবী৷ এদিকে খবর জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় পুলিশ প্রশাসনের অন্দরে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় ছুটে আসেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার ডিএসপি ট্রাফিক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। ওই গৃহবধূর সাথে কথা বলেন রায়গঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার। ওই গৃহবধু পুজা যাদব জানিয়েছেন, তার স্বামী তার ছবি ভাইরাল করার জন্য তিনি সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না। পুলিশ প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে ওই গৃহবধু পুজা যাদব।
পৃথক দুটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই জনের
তাই নিজের হাতের শিরা নিজেই কেঁটে দিয়ে আমি মরতে চান তিনি। তার স্বামীকে যতক্ষন না পুলিশ গ্রেপ্তার করবে ততক্ষন তিনি এভাবেই থাকবেন কারন সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না বলে জানান তিনি।অবশ্য পুলিশ প্রশাসন ওই গৃহবধূর পাশে আছে এবং তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার। তবে থানায় এসে এভাবে নিজের হাত ধারালো বস্তু দিয়ে কেটে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।