নিজস্ব সংবাদদাতা , চাঁচল , ২৬ ফেব্রুয়ারি : আটবছর আগেই দূর্ঘটনাবশত শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়েন চাঁচল ১ ব্লকের অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতলপুরের বাসিন্দা নুর নবি আজাদ।এরপর থেকে ঘরবন্দি অবস্থাতেই দিন কাটছে তার।মেলেনি কোনও সরকারি সাহায্য৷
ফলে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন নিয়ে শুক্রবার চাঁচল বিডিও অফিসের সামনে ধর্ণায় বসেন নুর নবি। জানা গিয়েছে, ২০১৩সালে মুম্বইতে এক বেসরকারী সংস্থায় কাজ করার সময় দূর্ঘটনাবশত গাছ থেকে পড়ে যান তিনি। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হলেও কোমর আর ঠিক হয়নি ৷ফলে হারিয়ে ফেলে স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করার ক্ষমতা। নুর নবি আজাদ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, চলাফেরা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পর পরিবারের সদস্যরাও তার ঠিকমত যত্ন করেন না। এমনকী এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য থেকে প্রধান, কেউ তাঁর খোঁজ নেয় না৷ রয়েছে প্রতিবন্ধী ভাতা।কিন্তু সেই হিসেবে পাওয়া ১০০০টাকায় কিছুই হয় না তার।এমনকী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও তা কোন উপকারে আসে না বলেই অভিযোগ করেছে নুর নবি আজাদ।মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টাও করেছে সে। সেকারণেই এদিন স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন নিয়ে ব্লক প্রশাসনের দফতরের সামনে ধর্ণায় বসে নুর নবি আজাদ।খবর পেয়ে বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে নুরের সঙ্গে দেখা করেন৷ তিনি নুরকে চিকিৎসায় যাবতীয় সাহায্য করার আশ্বাস দেন৷ বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য জানান,ওই যুবকের বিষয়টি জেনে দেখা করতে আসি।তাকে চাল ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি তার অন্যান্য প্রয়োজনেও সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য।তাঁর আশ্বাস পাওয়ার পর ধর্ণা ছেড়ে বাড়ি ফিরে যান ওই যুবক৷