আরসিটিভি সংবাদ : আম থাকা অবস্থায় প্রকাশ্যে কেটে সাফ আম বাগান, প্রশ্নের মুখে প্রশাসন ও বন দফতরের ভূমিকা। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদার চাঁচলের মকদমপুরে।
সামনেই আমের মরশুম। মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আমগাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষীরা।ইতিমধ্যে আমগাছগুলিতে মুকুল থেকে আমের গুটি বের হতে শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় একসাথে প্রায় ১৪টি আমগাছ কাটার অভিযোগ উঠল চাঁচলের মকদমপুর পঞ্চায়েতের শেরপুরে।দিনের আলো হোক বা রাতের আঁধার প্রতিনিয়ত চলছে বৃক্ষনিধন।
আরও পড়ুন – অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে গ্রামবাসীদের হাতে হেনস্থা সুপারভাইজার
মুকুল থাকা অবস্থাতেই নির্বিচারে আমগাছগুলি কেটে ফেলায় স্বভাবতই আলোড়ন ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। বনদফতরের তরফেই গাছগুলি কাটা হচ্ছে, জানতে পেরে বিস্মিত স্থানীয়রা। এঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে জেলার আম বিশেষজ্ঞ ড. কমল কৃষ্ণ দাস। বনদফতর কিভাবে গাছ কাটার অনুমতি দিতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন – স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফাঁকিবাজির অভিযোগ
অপরদিকে আমের মরশুমে আম গাছ কাটা আইনত দণ্ডনীয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমী তথা চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক নীহাররঞ্জন দাস। মালদা বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন – বৈঠক সেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর
তবে নিয়ম মেনেই গাছ কাটা হচ্ছে বলে দাবী করেছেন চাঁচল রেঞ্জের বনদপ্তরের আধিকারিক মনীন্দ্রনাথ কর্মকার।যদিও মালদা রেঞ্জের বনদপ্তর আধিকারিক জিজু জ্যাস্পার জানিয়েছেন, মুকুল থাকা অবস্থায় কোন আম গাছ কাটার এক্তিয়ার নেই।