চাঁচল, ২৬ আগস্ট : এলাকার যুবক যুবতীদের মধ্যে খেলাধূলোর সম্প্রসারণে চাঁচলে স্টেডিয়ামকে নতুনভাবে সাজানোর উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।কিন্তু স্টেডিয়ামটির অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।ফলে অর্ধসমাপ্ত স্টেডিয়ামটি বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়া হয়ে উঠেছে।
অভিযোগ,আঁধার নামতেই চাঁচলের স্টেডিয়ামের ভিতরে বসছে মদ্যপান ও জুয়ার আসর।স্টেডিয়ামে একটি হাইমাস্ট আলো থাকলেও সেটি একমাসেরও বেশি সময় ধরে বিকল হয়ে আছে।স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশপথের আলোগুলোও অকেজো হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।অন্ধকারের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যেমন এই মাঠটি অসামাজিক ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে, তেমনি গরু ও ছাগলের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে অর্ধসমাপ্ত স্টেডিয়াম চত্বর।উল্লেখ্য শহরে সেভাবে খেলাধূলার মাঠ না থাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংস্থার ক্রীড়া প্রতিযোগীতা কিংবা শারীরচর্চার ক্ষেত্রে এই স্টেডিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। ফলে স্টেডিয়ামের এই বেহাল পরিণতিতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। অর্ধসমাপ্ত স্টেডিয়ামের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার পাশাপাশি মাঠটির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের দাবীতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা অয়ন রায় বলেন, স্টেডিয়ামের মূল লক্ষ্য খেলাধূলা ও শরীর চর্চা করা।সেই হিসেবেই তা ব্যবহার করার পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজন রয়েছে। অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ বন্ধে প্রশাসনেরও নজর দেওয়া উচিত বলে দাবী করেন তিনি। অন্যদিকে এবিষয়ে চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উৎপল তালুকদার বলেন, স্টেডিয়ামের মধ্যে অনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মাঠটির রক্ষণাবেক্ষনের বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন
তিনি। অপরদিকে চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় বলেন, স্টেডিয়ামের এই বিষয়গুলি প্রশাসনের নজরে এসছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।