নিউজ ডেস্ক , ১৯ ফেব্রুয়ারি : ব্রকলি শীতকালীন সবজি। অনেকটা ফুলকপির মতো দেখতে হলেও একে ফুলকপি বলা চলে না। বর্তমানে সবুজ রঙের এই সবজির চাহিদা সর্বত্র। চায়নিজ হোক বা দেশি বা স্যালাড সবক্ষেত্রেই এখন খাবারের সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্রকলি। এতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। পুষ্টিবিদদের তথ্য অনুযায়ী, ব্রোকলিতে আয়রনের পরিমাণ অনেক। ভিটামিন এ-এর একটি ভালো উৎস। এ ছাড়া এটি ত্বকের জন্য ভালো। কোলেস্টেরল কমাতেও সহায়তা করে। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে ব্রকলিতে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
জেনে নিন ব্রকলির কিছু উপকারিতা –
১) ব্রকলিতে রয়েছে সেলিনিয়াম, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ব্রকলিতে প্রচুর ভিটামিন এ থাকায় ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে বাধা দেয়। সর্দি-কাশিও ঠেকাতে পারে ব্রোকলি।
২) ব্রকলি হার্টের জন্য কিন্তু খুবই উপকারী। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যদি নিজের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ব্রকলি রাখেন তবে সেটি হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ব্রকলিতে রয়েছে আইসোথিওসায়ানেটস এবং সালফোরাফেন’এর মতো অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি উপাদান, যা হৃদপিন্ডে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে থাকে।
৩) ব্রকলিতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদান।
যা হার্টকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যালার্জি থেকে সংক্রমণের প্রবণতা রোধ করে। শুধু তাই নয়, শরীরে বিভিন্ন প্রদাহ থেকে ও বাঁচাতে সাহায্য করে।
৪) ব্রকলিতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ ত্বক সুন্দর ও মসৃণ রাখে। এ ছাড়া ব্রকলি খেলে বয়সের ছাপ চেহারায় পড়ে না।
৫) রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে এমন খাদ্যের মধ্যে ব্রকলি অন্যতম। এটা চিনির প্রভাব রোধ করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কম রাখে। কেননা ব্রকলি ভালো কার্ব যা ফাইবার সমৃদ্ধ বলে পরিচিত।
৬) ব্রকলি একটি প্রাকৃতিক ডেটক্স যা পেট এবং পাচনতন্ত্র পরিষ্কার রাখে। ব্রকলিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি বলেই এটা সম্ভব হয়।
৭) ব্রকলিতে রয়েছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৯ বা ফোলেট। ভ্রুণের মস্তিস্ক গঠনে ফোলেট উপকারী। তাই গর্ভাবস্থায় ফোলেট যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।