নিউজ ডেস্ক , ২০ ফেব্রুয়ারি : আমাদের দৈনন্দিন খ্যাদাভাসে লেবু খাওয়ার প্রচলন বহুযুহ থেকেই। ভিটামিন সি-র অন্যতম উৎস হিসেবে পাতিলেবুর উপকারিতার কথা সকলেই জানে। তবে এর অন্যান্য কার্যকারিতার কথা মাথায় রেখে আমাদের প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় পাতিলেবুকে রাখা অত্যন্ত জরুরী।
1) অন্যান্য যেকোনফলের চেয়ে লেবুতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তা ছাড়া ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামেও ভরপুর রয়েছে লেবুতে।
2) শরীরে প্রবেশ করা অনেক ক্ষতিকর ব্যাকটিরিয়াকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে লেবুতে থাকা ভিটামিন সি-র। ফলে ফুড পয়জ়নিং কিংবা ডায়েরিয়া প্রতিরোধে পাতিলেবুর রস কাজে দেয়।
3) উচ্চ রক্তচাপযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে লেবুতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ভাল কাজে দেয়। যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
4) পাতিলেবু ধমনীকে ভাল রাখতে ও এর কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সহায়তা করে। ফলে পরোক্ষে হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ও রক্ত চলাচলেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
5) লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত হওয়ায় পাতিলেবুর রস ডায়াবেটিক রোগীদের পক্ষে উপকারী।
6) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস ভরপুর রয়েছে পাতিলেবুতে।ফলে
ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
7) এছাড়াও লেবু ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে।
তবে নানা গুণসমৃদ্ধ হলেও কিছু ক্ষেত্রে লেবু খাওয়ার মাত্রা খানিক নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।করোনা অতিমারির পর থেকে অনেক বাড়িতেই আগের থেকে লেবু খাওয়ার চল বেড়েছে অনেকটাই। তবে গরম জলে লেবু খেলে তার গুণ অনেকটাই কমে যায়। এমনকী খালিপেটে লেবু খেলে হতে পারে অ্যাসিড।কিডনির রোগীদের অতিরিক্ত লেবু খাওয়া ঠিক নয়। পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের ক্ষেত্রেও লেবুর পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকলে ভাল। যদিও লেবু নানান গুণ সম্পন্ন, কিন্তু ব্যবহারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অবশ্যই দরকার।