নিউজ ডেস্ক , ২৫শে সেপ্টেম্বর : মহালয়ার দিনে তর্পনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পিতৃ পক্ষের আর শুরু দেবী পক্ষের।শাস্ত্র মতে লক্ষ্মী পূর্ণিমা পর্যন্ত সময়কাল দেবী পক্ষ।দেবী পক্ষ শুরু মানেই শুরু হয়ে গেল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজোর।বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কালজয়ী কন্ঠ আর আগমনী গানের মধ্যে দিয়ে শারোদৎসবের সুচনা হতেই প্রথা মেনে ব্যস্ততা শুরু কুমোরটুলিতে।কারন এমন দিনেই তো দুর্গার চক্ষু দানের প্রথা চলে আসছে।
সারা বছর সেভাবে ব্যস্ততা না থাকলেও দুর্গা পুজো আসলেই ব্যস্ততা বাড়ে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের।কাঠামো তৈরী,তাতে খড় ও মাটির প্রলেপ দিয়ে গড়ে তোলা,এতদিন সেকাজেই ব্যস্ত ছিলেন মৃৎশিল্পীরা।কিন্তু মহালয়ার দিন আসতেই সেই ব্যস্ততা চরমে ওঠে।দেবী পক্ষ যে শুরু হয়ে গেছে।আর এমন দিনেই দেবীর চক্ষু দানের প্রথা যে চলে আসছে সেই বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে।বাজলো তোমার আলোর বেনু,মাতলো যে ভুবন।জ্যোতিচ্ছ্বটা ছড়িয়ে তিনি যে আসছেন।সারা ভুবনে যে ছড়িয়ে পরেছে তারই আগমনী বার্তা।হাতে যে আর সময় নেই।তাই প্রথা মেনে মৃৎশিল্পীরাও মায়ের মৃন্ময়ী মুর্তি গড়ে শুরু করেছেন সেই মুর্তিতে চোখ দানের কাজ।বছর ফিরে মা আসছেন মর্ত্যধামে।আপামর বাঙালির মন আজ আনন্দমুখর।দু’বছর করোনা মহামারীতে অনেকটাই ম্লান ছিল উৎসবের।কিন্তু এবছর?না, এবছর করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত।বেড়েছে পুজোর সংখ্যা।নাওয়া খাওয়া ভুলে শেষ তুলির টানে এখন ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।শুরু হয়ে গেছে দেবী পক্ষ।এতদিনের পরিশ্রমে গড়ে তোলা দেবীর মৃন্ময়ী মুর্তি যে সময়মতো পৌছে দিতে হবে মন্ডপে মন্ডপে। দেবী মূর্তিতে রঙের প্রলেপ আর চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে মৃৎশিল্পীরা আবাহন করলেন মা উমা কে