নিউজ ডেস্ক, ১৬ মার্চ : একুশের নির্বাচনে পাখির চোখ নন্দিগ্রাম। কারণ সেখানে শাসক দলের তরফে প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এবং তাঁর বিপক্ষে রয়েছেন তৃণমূল ত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী।
তবে নির্বাচনের মুখে ফের নন্দিগ্রামে জমি আন্দোলন সংক্রান্ত মামলা শুনানি শুরু হল হলদিয়া আদালতে। আদালতের নির্দেশে নন্দীগ্রাম জমি কাণ্ডে গ্রেপ্তার হতে পারেন একাধিক তৃণমূল নেতা। সেই তালিকায় নাম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানেরও।নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনকারীদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের পালটা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। এরপরই হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নতুন করে নন্দিগ্রাম জমি মামলা চালুর নির্দেশ দেয়। সোমবার হলদিয়া আদালতে সেই মামলার শুনানি ছিল। নির্বাচনের আগে আদালতের এই নির্দেশে নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান, আবু তাহের, শেখ শাহবুদ্দিন-সহ এলাকার বহু তৃণমূল নেতা গ্রেফতারের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, খুন, অপহরণ, মারধরের এই সব মামলায় প্রায় ১৫০ জনকে চার্জশিটে পলাতক দেখানো হয়েছিল এবং তাঁদের অধিকাংশই জামিন নেননি। তাই আদালতের নির্দেশ অনুযায় এঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে।উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গুলি চলেছিল নন্দিগ্রামে। প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৪ জন। এর বছর চারেক বাদে রাজ্যে পালাবদল ঘটে। ক্ষমতায় আসার পর নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন সংক্রান্ত একাধিক মামলা খারিজ করে দেয় তৃণমূল সরকার। জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা নীলাঞ্জন অধিকারী। এবারের ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার আসনে দলের প্রার্থীও বটে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই নন্দিগ্রামে জমি সংক্রান্ত মামলাটির ফের চালু করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।