নিউজ ডেস্ক,১ইফেব্রুয়ারি : করোনা আতঙ্ক কমেছে এই সময় কালে। তবে এখনও স্বাভাবিক হয়নি দেশ তথা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা। তার মধ্যে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত রাশিয়া – ইউক্রেনের যুদ্ধ।অন্যদিকে সামনেই লোকসভা নির্বাচন।তারই মধ্যে বুধবার দ্বিতীয় দফায় সংসদে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।ফলে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তরফে একাধিক জনমোহিনী বিষয় ঘোষণা করা হয়েছে এবার।
অতিমারির জেরে গত তিন বছরে বিশ্ব অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়েছে। কিন্তু দেশের সরকারি হিসেব বলছে, এই সঙ্কটের সময়ও উপচে পড়েছে সরকারি কোষাগার। পণ্য এবং পরিষেবা করবাবদ প্রায় প্রতি মাসেই রেকর্ড আয় করেছে সরকার।কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের কোষাগার থেকে তার চেয়ে ঢের কম পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি অর্থনৈতিক সমীক্ষার।রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের কোষাগার থেকে খরচের পরিমাণ ৫০ শতাংশের নিচে নেমে যায় প্রথম বার। ২০০২-’০৩ অর্থবর্ষে তা ৫০ শতাংশের উপরে ওঠে ফের। তার পর থেকে ২০০৮-’০৯, ২০১০-’১১ এবং ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে ফের তা ৫০ শতাংশের নিচে চলে যায়। ২০২০-’২১ সালে যাও বা খরচ কিছু বেড়েছিল কেন্দ্রের, সেটা অতিমারির জন্য। তার পর থেকে বিগত দু’বছর কেন্দ্রীয় কোষাগার থেকে খরচ কমই থেকেছে।
কোভিড উত্তর পর্বে সরকার চেপে খরচ করেছে, এমন যুক্তিও উঠে এসেছে। সরকারি সম্পত্তির বেসরকারিকরণ ঘটিয়ে, ভর্তুকি বন্ধ করে, তা থেকে আয়ের সূত্র বের করে কেন্দ্র রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে আনতে চাইছে বলেও দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়নি বিগত কয়েক বছরে। তাই এ বারের বাজেটে নতুন দিশা দেখিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলাই বাহুল্য…..